বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের মতো জনবহুল দেশে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে সামান্যতম অসতর্কতাও হয়ে উঠতে পারে ভীষণরকম মারাত্মক। দেশে রোজই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমনের জেরে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষের। কিন্তু তারপরেও মানুষের মধ্যে অসচেতনতার অভাব নেই। গতবছর দিল্লির নিজামুদ্দিন তথা তাবলিঘি জামাতের স্মৃতি মনে করিয়ে ফের একবার উত্তরপ্রদেশে দেখা গেলেও চূড়ান্ত অসতর্কতার দৃশ্য। গত বছরের মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে লকডাউন চলে সত্ত্বেও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিড় করেন কাতারে কাতারে মানুষ। ছিলেন বহু বিদেশী নাগরিকও। সকলেই জানেন যে বিদেশ থেকে ভারতে করোনা ভাইরাসের আগমন ঘটেছে। আর সেই কারণেই গত বছর এই জামায়াতের বিরুদ্ধে রীতিমতো করার পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল প্রায় ৯৬০ জনকে। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভিসাও। দুর্যোগ আইন এবং বিদেশি নাগরিক আইন অনুসারে ভারত ভ্রমণ নিষিদ্ধ হয়েছিল প্রায় ২২০০ জনের। কিন্তু তাতেও ফেরেনি মানুষের চেতনা।
ফের একবার উত্তরপ্রদেশের বাদায়ুতে ধর্মগুরু আবদুল হামিদ মহম্মদ সলিমুল কাদরির মৃত্যুতে করোনা বিধি ভঙ্গ করে জমায়েতে করলেন হাজার হাজার মানুষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার ওই ধর্মগুরুর মৃত্যুর পর ভক্তদের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় এক মসজিদে রাখা হয় মৃতদেহ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশাল জমায়েত করেন মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষেরা। ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এই বিশাল জামায়াতের বিরুদ্ধে। বর্তমানে যোগী রাজ্যে এই মারণ ভাইরাসের কবলে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। মৃত্যুর পরিমাণ এত বেশি যে তা রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এই অবস্থায় কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসনও। প্রথমবার মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে দিতে হচ্ছে হাজার টাকা জরিমানা। দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটালে জরিমানার পরিমাণ প্রায় দশ হাজার টাকা। কিন্তু এত আইন সত্বেও কমছে না মানুষের অসচেতনতা। উত্তরপ্রদেশের এই ভাইরাল ভিডিওটি দেখলে রীতিমতো শিহরিত হতে হয়। ভারতের জনবহুল রাজ্য গুলির মধ্যে অন্যতম উত্তর প্রদেশ। আর সেখানে করোনা বিধি ভেঙে একইসঙ্গে এত মানুষের ভিড় যে রীতিমতো আশঙ্কাজনক তা বলাই বাহুল্য। এখন এক্ষেত্রে আগামী দিনে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় আরও অনেক বেশি সংক্রামক। আর সে কথা মাথায় রেখেই আগামীতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইবে প্রশাসন। যাতে মানুষের মধ্যে অসচেতনতা অন্তত কিছুটা কমে।