বাংলা হান্ট ডেস্ক : মৃত্যু কির্ণ পথে হই জড়ো নতুন জন্মে ডঙ্কা বাজে বেদনায় পৃথ্বী থরথর সুভাষ মুখোপাধ্যায় তার লাইনে পৃথিবীর লীলার কথা বলে গেছেন। বড় লীলাময়ী এই প্রকৃতি। কখনো সে শান্ত স্নিগ্ধ শ্যাম সুন্দর মায়ের মত। কখনো শেষ আবার কখনো সে রুদ্রমূর্তি ভয়ঙ্কর। তার প্রলয়নাচন থরথর কাঁপে। পৃথিবী সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষের একমাত্র প্রচেষ্টা প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন করে।
আর তেমনই এক ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।ফের ঘূর্ণিঝড়ের রক্তচক্ষু ৷ বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালেই উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মহা ৷ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিমি গতিবেগে বইবে ঝড় ৷সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর ৷ আর এই ঘিরে উৎকণ্ঠার পারদ চড়ছে তীব্র।
বর্তমানে আরবসাগরের উপরে অবস্থান ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’-এর ৷ ধীরে ধীরে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাচ্ছে গুজরাতের উপকূলের দিকে ৷ প্রশাসন তার নিজের ভঙ্গিতে তার ব্যবস্থা নিতে তৎপর।তবে শুধু গুজরাত নয় ৷ এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে মহারাষ্ট্রেও ৷ ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পূর্বাভাস অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় মহা-এর প্রভাবে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে দুর্গত আশ্রয়হীন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। জলবন্দি মানুষদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবির তাদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করবার জন্য তৈরি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেখানে মানুষ জলবন্দি হবে ওষুধপত্র পানীয় জল জামাকাপড় শুকনো খাবার পৌঁছানো দরকার হবে সেখানে যেন খুব শীঘ্রই পৌঁছে যায় তার ব্যবস্থা রাখবার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সরকার।