বাংলা হান্ট ডেস্ক : দু’দিন আগেই সুইডেনে (Sweden) জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কোরান। যার পরই তোলপাড় শুরু হয় গোটা দুনিয়া জুড়ে। এরই মধ্যে লাহোরের সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-জাংভি (LeJ) রবিবার ঘোষণা করে তারা গত সপ্তাহে সুইডেনে কোরান পোড়ানোর প্রতিশোধ নেবে। আর প্রতিশোধ হিসাবে তারা পাকিস্তানের (Pakistan) খ্রিস্টান এবং গির্জাগুলিতে আক্রমণ করবে বলে হুঁশিয়ারি।
এলইজে মুখপাত্র নাসির রাইসানি হুমকি দিয়ে জানায়, ‘একটাও চার্চ বা একজন খ্রিস্টানও পাকিস্তানে নিরাপদ থাকবে না।’ অদ্ভুত ভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকির কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে পাকিস্তান সরকার।
প্রসঙ্গত, ওই সন্ত্রাসী সংগঠনটি গত শতাব্দীর ৯ এর দশক থেকে পাকিস্তানে শিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান চালিয়ে গেছে। তারা শুধুমাত্র মসজিদ এবং শিয়া মিছিলের মতো জনসাধারণের জায়গায় হিংসাত্মক হামলা করেই শান্ত হয়নি, বরং বিশিষ্ট শিয়া ব্যক্তিত্বদের উপরেও আঘাত হনেছে বারংবার।
আল-কায়েদার ৯/১১ হামলার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সামিল হওয়ার জন্য পাকিস্তানকে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে এলইজে। আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটোর আগ্রাসনের জন্য এলইজে কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায়কেই নয়, পাকিস্তানের পশ্চিমা কূটনীতিকদেরও নিশানা করেছে বলে জানা গেছে।
খ্রিস্টানদের প্রতি এলইজের দাবি, পাকিস্তানে তারা বৈষম্যের শিকার, নির্যাতিত আহমদী মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ঈদের হামলার সময় এসেছে। পাকিস্তানে অমুসলিম বলে বিবেচিত আহমদীরা, স্থানীয় পুলিস আধিকারিকরা উৎসব উদযাপন করছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
ইসলামপন্থী কট্টরপন্থী দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান বা টিএলপি পুলিসের কাছে অভিযোগ করে আহমদী মুসলমানরা তাদের বাড়িতে পশু কুরবানি দিয়ে ঈদ উদযাপন করছে। এখানেই চেষ নয়, পুলিস আহমাদি সম্প্রদায়ের সদস্যদের সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন আহমাদি সদস্যকে ঈদ উদযাপনের জন্য হেফাজতে নেয় বলে জানা যায়। পাকিস্তান পাঞ্জাবের পুলিস কোরবানির জন্য ব্যবহৃত মাংস ও সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করে।