বাংলাহান্ট ডেস্ক: মধুবালা (madhubala), হিন্দি (hindi) সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় তথা এক ট্র্যাজিক নায়িকা। বলিউডের মেরিলিন মনরো নামে খ্যাত এই অভিনেত্রীর শেষ পরিণতি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে অকালমৃত্যু ঘটে এই অসাধারন অভিনেত্রীর। জানা যায়, জীবনের শেষ দিনগুলো খুবই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কেটেছে তাঁর। দীর্ঘ ৯ বছর ছিলেন শয্যাশায়ী।
ছোটবেলাতেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় মধুবালার। তাঁর অকাল প্রয়াণ বলিউডে এক অপূরণীয় ক্ষতি। ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট বা হৃদয়ে ফুটোই অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি টুইটার থ্রেড থেকে মধুবালার জীবনের শেষ কিছুদিন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য উঠে আসে।অভিনেত্রীর বোন মধুর ভূষন তাঁর অসুস্থতার দিনগুলি সম্পর্কে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এস এস ভাসানের ‘ছলক’ ছবিতে অভিনয় করার সময়েই হার্টে ফুটোর বিষয়টা প্রথম ধরা পড়ে মধুবালার। সময়টা ১৯৫৪, শুটিং হচ্ছিল তখনকার মাদ্রাজে। রক্তবমি হত অভিনেত্রীর। তিন মাস সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু ছবির স্বার্থে শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন মধুবালা।
https://twitter.com/greeneyedabyss/status/1256178315221663744?s=19
অভিনেত্রীর বোন লেখেন, ‘মুঘল-এ-আজম এর শুটিংয়ে তাঁকে শিকল দিয়ে বাধা অবস্থাতেই ঘোরাফেরা করতে হত। শুটিংয়ের শেষে হাত পা নীল হয়ে যেত তাঁর। জেলের দৃশ্যগুলিতে তাঁর লুক আরও বাস্তবায়িত করার জন্য শুট করার সময়ে কোনও খাবারও খেতেন না তিনি। ছবিতে মধুবালা ও ভাইজানের পালকের দৃশ্যটি হিন্দি ছবিতে সবথেকে রোম্যান্টিক দৃশ্য বলে মনে করা হয়। সেটি তাঁদের বিচ্ছেদের পরে শুট করা হয়।’
https://twitter.com/greeneyedabyss/status/1256178437384998919?s=19
তিনি আরও লেখেন, ‘তাঁর অসুস্থতার জন্য শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসত। বাড়িতে চিকিৎসক এসে অতিরিক্ত রক্ত বের করে নিতেন শরীর থেকে। সারাক্ষণ কাশিও হত তাঁর। প্রতি ৪-৫ ঘন্টা অন্তর অক্সিজেন না দিলে শ্বাসকষ্ট শুরু হত তাঁর।’
https://twitter.com/greeneyedabyss/status/1256178519643697153?s=19
মধুবালার বোনের টুইট থেকে জানা যায়, নয় বছর শয্যাশায়ী থেকে একেবারেই স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল অভিনেত্রীর। বারবার বলতেন, তিনি বাঁচতে চান, ওষুধ কবে আসবে। অভিনেত্রীর শেষ কিছু দিনের সময় তাঁর বোন বসন্ত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই তাঁকে অভিনেত্রীর কাছে যেতে দেওয়া হত না। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি দৌড়ে যান মধুবালাকে দেখতে।
https://twitter.com/greeneyedabyss/status/1256178608281915392?s=19
অভিনেত্রী মারা যান ৩৬ বছর বয়সে। সেই সময় তাঁর বোনের বয়স ছিল ১৯। তিনি জানান, অসুস্থতার সময়ে মধুবালাকে দেখতে না এলেও প্রয়াত অভিনেত্রীকে দেখতে এসেছিলেন দিলীপ কুমার।