‘শেষ গ্রাম’ পরিবর্তিত হল ‘প্রথম গ্রামে’, উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সাইনবোর্ড পাল্টে চিনকে কড়া বার্তা ভারতের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের চিনকে কড়া বার্তা ভারতের (India)। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটা গ্রাম ‘মানা’ (Mana)। পর্যটকদের কাছে এটা ‘ভারতের শেষ গ্রাম’ হিসেবেই পরিচিত। তবে সম্প্রতি বর্ডার রোড অর্গনাইজেশন এই গ্রামের বাইরেই নতুন এক সাইনবোর্ড লাগাল। তাতে লেখা – ‘ভারতের প্রথম গ্রাম’ (First Village of India)।

বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্তে অশান্তি তৈরি হয়েছে বারংবার। লাদাখ থেকে অরুণাচলে একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশের সেনা। উত্তরাখণ্ড অবশ্য এখনও পর্যন্ত আছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বলে এসেছে যে ভারতের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। এরই মধ্যে ভারত-চিন সীমান্তে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে অবশ্য আপত্তি জানিয়েছে চিন।

mana 2

এই সাইনবোর্ড নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি একটি টুইটে লিখেন, ‘এখন থেকে মানাকে আর ভারতের শেষ গ্রাম নয় বরং প্রথম গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।’ এর আগে গতবছর অক্টোবরে চমোলিতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে আমরা সাধারণত শেষ গ্রাম হিসেবে চিনে থাকি। তবে আদতে সেগুলি ভারতের প্রথম গ্রাম।’ এরইমধ্যে ‘মানা’-তে নয়া সাইনবোর্ড প্রসঙ্গে ধামি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমাদের সরকার সীমান্তবর্তী এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বদ্ধপরিকর।’

বদ্রিনাথ ধামের খুব কাছেই অবস্থিত এই ‘মানা’ গ্রাম। যেসব পর্যটক বদ্রিনাথ ঘুরতে যান, তাঁরা সাধারণত হিমালয়ের কোলে ছোট্ট এই গ্রামেও যান। বদ্রিনাথ থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই গ্রামে মোট ৫৫৮টি পরিবার রয়েছে। মোট ১২১৪ জনের বাস ছিল এই গ্রামে।

মারছাস এবং ভুটিয়া জনজাতির মানুষরাই থাকেন এই গ্রামে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রাম। শীতকালে পুরো বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যায় এই গ্রাম। সেই সময় এই গ্রামের গোটা জনবসতিটাই নীচে নেমে আসে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর