বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সঙ্গীত জগতে বহু নক্ষত্রের উদয় হলেও সুরসম্রাজ্ঞী ছিলেন একজনই। তিনি লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। তাঁর কণ্ঠে ছিল স্বয়ং মা সরস্বতীর বাস। ভারতীয় সঙ্গীত তাঁর ছত্রছায়ায় ক্রমেই আরো বিস্তৃত হয়েছে। লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) গান, তাঁর কণ্ঠ আজও সকলের কাছেই একটা আশ্চর্যের বিষয়। তবে শুধু তাঁর কণ্ঠ নয়, মানুষটাও ছিলেন একেবারে খাঁটি। তাঁর মূল্যবোধ ছিল অনমনীয়।
লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) কম বয়সে শুরু করেন গানের কেরিয়ার
অনেক কম সময়েই পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছিল লতা মঙ্গেশকরের(Lata Mangeshkar) । তাই ছোট্ট বয়স থেকেই সঙ্গীত কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। অচিরেই খ্যাতির শীর্ষে উঠে যান লতা মঙ্গেশকর। যেকোনো ধরণের গানই তাঁর সুরের মাধুর্যে হয়ে উঠত অসাধারণ। কম বয়সে অনেক পরিশ্রম করে রোজগার করেছিলেন তিনি। মানুষ করেছিলেন ছোট ভাই বোনদের। তবুও নিজের আদর্শ থেকে কখনো একচুলও নড়েননি লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)।
বিয়েতে গান গাওয়ার অফার এসেছিল: সুদীর্ঘ কেরিয়ারে বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য গান গেয়েছেন তিনি। সেই সময়েও ছিল বিয়ে বাড়িতে গাওয়ার চল। নামীদামী শিল্পীরা হেভিওয়েট বিয়েতে গিয়ে পারফর্ম করতেন। বদলে নিতেন মোটা পারিশ্রমিক। এমনি প্রস্তাব এসেছিল স্বয়ং লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) কাছেও। একবার একটি রিয়েলিটি শোতে আশা ভোঁসলে জানিয়েছিলেন, এক ব্যক্তি বিয়ে বাড়িতে গান গাওয়ার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন লতার কাছে। বলেছিলেন, ‘মাত্র ২ ঘন্টা দর্শন দিন’। পরিবর্তে অফার করেছিলেন ১০ লক্ষ টাকা! কী উত্তর দিয়েছিলেন গায়িকা?
আরো পড়ুন : বাবা-ছেলে দুজনেরই শয্যাসঙ্গী! কীর্তি ফাঁস হতেই কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটান এই অভিনেত্রী
কী উত্তর দিয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী: লতা মঙ্গেশকর স্পষ্ট বলেছিলেন, তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা দিলেও তিনি যাবেন না। লতা দীননাথ মঙ্গেশকর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেও আশা ভোঁসলে বলেছিলেন, একটি বিয়ে বাড়িতে গান গাওয়ার জন্য প্রস্তাব এসেছিল তাঁদের কাছে। প্রায় মিলিয়ন ডলার না পাউন্ডের টিকিট ছিল তাদের কাছে। লতা (Lata Mangeshkar) এবং আশা দুই বোনকেই দরকার ছিল তাঁদের। আশা ভোঁসলে বলেছিলেন, ‘দিদি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি বিয়েতে গান গাইবে? আমি না বলতেই তিনি ওই ব্যক্তিকে বললেন, আপনি ১০ কোটি ডলার দিলেও আমরা গাইব না। কারণ আমরা বিয়ে বাড়িতে গাই না’।
আরো পড়ুন : ‘বং ক্রাশ’ আবিরকে তো চেনেন, তাঁর স্ত্রী নন্দিনীর পরিচয় জানেন? কীভাবে হয়েছিল দুজনের আলাপ?
শেষ বয়সে একেবারেই গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তবে মুকেশ অম্বানি কন্যা ইশা অম্বানির বিয়েতে নিজে উপস্থিত না থাকতে পারলেও নিজ কণ্ঠে গায়ত্রী মন্ত্র এবং গণেশ স্তুতি পাঠ করে তিনি পাঠিয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।