বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের সুরের সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। তিনি গান গাইলে মনে হত যেন স্বয়ং দেবী সরস্বতী গাইছেন। অদ্ভূত ভাবে বিদ্যার দেবীর পুজোর পরের দিনই ইহলোক ত্যাগ করেন কিংবদন্তি গায়িকা। কিন্তু তাঁর বহু কালজয়ী গান, তাঁর সঙ্গে জড়িত গল্প, অজানা কথা সমস্তই রয়ে গিয়েছে।
লতা মঙ্গেশকরকে মানুষ চেনে ভারতীয় সঙ্গীত জগতের একজন শক্ত খুঁটি হিসাবে। তিনি সকলের মাতৃস্বরূপা ছিলেন। বাস্তব জীবনেও ছোট ছোট ভাই বোনদের মায়ের জায়গাটাই নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। যে উচ্চতায় তিনি পৌঁছেছিলেন তা নেপথ্যে যে কত পরিশ্রম গিয়েছে, তা আর জানে কজনা?
অত্যন্ত কম বয়সে সংসারের জোয়াল নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তখন থেকেই শুরু হয় গানের জগতে তাঁর সফর। সে সব দিনের কথা নিজেই বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী। সম্প্রতি তেমনি একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কেরিয়ারের শুরুর দিকের কিছু অজানা গল্প শোনাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তখন সবে সবে কেরিয়ার শুরু করেছেন লতা মঙ্গেশকর। লোকাল ট্রেনে করেই স্টুডিওতে যেতেন তিনি। কখনো টাঙ্গাতে যেতেন। আবার এমনো দিন গিয়েছে যখন পায়ে হেঁটেই গান রেকর্ড করতে গিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। খিদে তেষ্টা নিয়েই গান রেকর্ড করতেন। কারণ তিনি জানতেন না যে স্টুডিওতে ক্যান্টিনও আছে যেখানে চা, খাবারদাবার পাওয়া যায়।
https://www.instagram.com/p/Caa6MmqjLiK/?utm_medium=copy_link
গায়িকাকে বলতে শোনা যায়, “স্টুডিওতে একটা কোণায় বসে থাকতাম আমি, খিদে তেষ্টা নিয়ে। তারপর একদিন এক পরিচালকের সহকারী আমাকে এসে জিজ্ঞাসা করেন, ‘লতা তুমি খাবার খাবে?’ আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, এখানে খাবার কোথায় পাবো? বাড়িতে ফিরেই খেতে হবে। তখন উনি আমাকে সঙ্গে করে ক্যান্টিনে নিয়ে যান।”
লতা মঙ্গেশকরের প্রথম সঙ্গীত গুরু তাঁরই দিদিমা। লোকগানের হাত ধরে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর যখন ১৩ বছর বয়স তখনি তাঁর বাবা মারা যান। সেই বয়সেই রোজগার শুরু করেন লতা মঙ্গেশকর।
যখন তিনি প্রথম রোজগার করেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ বছর। ২৫ টাকা দিয়ে রোজগার শুরু করেছিলেন তিনি। ছোট ছোট ভাই বোনেদের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। এমনকি সংসার সামলানোর জন্য সারা জীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।