কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) আর আমাদের মধ্যে নেই। গানের জগতে লতা মঙ্গেশকর যে অবস্থান অর্জন করেছিলেন তা ভারতের মাটিতে আর কোনও গায়িকা অর্জন করতে পারেননি। যদিও লতাজি (Lata Mangeshkar)আজ আর এই পৃথিবীতে নেই, তবুও তিনি তাঁর কণ্ঠে চিরকাল বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। তিনি নিজেও বলতেন ‘আমার কণ্ঠই আমার পরিচয়’।
লতা মঙ্গেশকর সাত দশক ধরে সঙ্গীত জগতে রাজত্ব করেছেন। তিনি অল্প বয়স থেকেই এই যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং তার মখমল, সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ে রাজত্ব করেছিলেন। লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে উন্মাদ হয়ে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু তিনি নিজে এই পৃথিবীতে নতুন করে জন্ম নিতে চাননি। তিনি বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর আমাকে এই পৃথিবীতে ফেরত পাঠালেও তিনি যেন আমাকে মেয়ে না হয়ে ছেলে হিসেবে ফেরত পাঠান।’
লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) সাত দশক ধরে সঙ্গীত জগতে রাজত্ব করেছেন
রাজীব শুক্লাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন যে তিনি আর জন্ম নিতে চান না। সাক্ষাৎকারে লতা বলেছিলেন, ‘আমরা হিন্দু এবং আমরা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করি। যদি সত্যিই পুনর্জন্ম হয় তাহলে ঈশ্বর বলুন আমি পুনর্জন্ম না পাই। আর যদি ঈশ্বরকে পুনর্জন্ম দিতে হয় তবে তাঁকে ভারতের মহারাষ্ট্রেই পুনর্জন্ম দিতে হবে।
তিনি বলেছিলেন যে তিনি যদি আবার জন্ম নেন, তবে তিনি লতা মঙ্গেশকর হয়ে জন্মগ্রহণ করবেন না। এর পেছনে অনেক গভীর রহস্য লুকিয়ে ছিল। যদিও তিনি অনেক নাম এবং খ্যাতি অর্জন করেছেন, তবুও তিনি আবার লতা মঙ্গেশকর হতে চাননি। এর পেছনের কারণ ছিল তার কঠোর সংগ্রাম। তিনি তাঁর জীবনে অনেক খ্যাতির পাশাপাশি অনেক দুঃখ-বেদনাও দেখেছিলেন। এই কারণে তিনি এই পৃথিবীতে আর জন্ম না নেওয়ার কথা বলতেন। আর যদি সে নতুন করে জন্ম নেয়, তাহলে সে চাইত মেয়ে নয় ছেলে হয়ে জন্মাতে চাইতেন। কারণ একজন নারী হিসেবেও লতা অনেক খারাপ দিন দেখেছেন।