বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারা বিশ্বে তিনি পরিচিত ‘কোকিলকণ্ঠী’। বলা হয়, স্বয়ং মা সরস্বতী বাস করেন তাঁর কণ্ঠে। তিনি লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। অনবদ্য সুরের জাদুতে দীর্ঘদিন ধরে সকলে মাতিয়ে রেখেছেন এই প্রবাদপ্রতিম গায়িকা। এখন বয়সের ভারে সঙ্গীতচর্চা বন্ধ রাখলেও সঙ্গীত জগতের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রেখে চলেছেন লতা।
আজ ৯২ বছরে পা দিলেন সুরের নাইটিঙ্গেল। গোটা দেশ থেকে আসা শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন বর্ষীয়ান গায়িকা। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বলিউডের তাবড় হেভিওয়েট তারকারা। সেঞ্চুরির দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে চলেছেন লতা মঙ্গেশকর।
কিন্তু একটা তথ্য জানেন কি? এক সময় অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন লতা। তিন মাস ধরে গান গাওয়ার ক্ষমতাটুকুও ছিল না তাঁর। বিষ মিশিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল গায়িকাকে। লেখিকা পদ্মা সচদেব ‘অ্যায়সা কাহাঁ সে লাউঁ’ বইতে এমনি হাড়হিম করা ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
১৯৬২ সাল। লতার বয়স তখন মাত্র ৩৩। হঠাৎই একদিন সকালে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা করতে থাকে তাঁর। দু তিনবার বমি করার পরে সমস্ত শরীর ব্যথা করতে থাকে গায়িকার। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। লেখিকা জানান, বিষের কারণে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন লতা। তিন মাস ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। এমনকি কিছু খেতেও পারতেন না লতা। শুধুমাত্র ঠাণ্ডা স্যুপ খেয়ে তিন মাস কাটিয়েছিলেন।
চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, ‘স্লো পয়জন’ দেওয়া হয়েছিল লতাকে যাতে একটু একটু করে অসুস্থ হয়ে শেষমেষ মৃত্যুমুখে ঢলে পড়েন তিনি। কিন্তু এই জঘন্য কাজ কে করল তা এখনো রহস্যই থেকে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরপরই গায়িকার রাঁধুনি পারিশ্রমিক না নিয়েও কাজ ছেড়ে দেয়। এর আগ একাধিক তারকার বাড়িতে কাজ করেছিলেন ওই রাঁধুনি। কিন্তু বিষয়টা তখনি ধামাচাপা পড়ে যায়।