বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুরোনো শাড়ি হাঁটুর ওপর মালকোঁচা দিয়ে পরা, খালি পা, রোগা শরীরে দৌড়ে চলেছেন এক প্রৌঢ়া। না কোনো গ্রামের আল পথের দ্শ্য নয়, নয় কোনো শহরের নিম্নবিত্তের বসতির ছবি। ছবিটি ম্যারাথম দৌড়ের। দৌড় বিদের নাম লতা। প্রথম তিনি দৌড়েছিলেন ২০১৩ সালে স্বামীর চিকিতসার খরচের জন্য।
পেশায় ক্ষেত মজুর লতা জানান, ‘স্বামীর এমআরআই স্ক্যান করাতে পাঁচ হাজার রুপির দরকার ছিল। প্রতিবেশীদের কাছে শুনেছিলাম দৌড়লে পয়সা পাওয়া যায়, তবে ভাবিনি জিততে পারব।’ । সেই দৌড়ে প্রথম হয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয় নি লতাকে। ৬৮ বছর বয়সেও দৌড়ে চলেছেন এই নারী।
প্রথম যেদিন লতা ম্য়ারাথনে দৌড়ে নাম দিয়েছিলেন সেদিন তার জানা ছিল না কোনো নিয়ম কানুন, ছিল না পোশাকও। বিদ্রুপের দ্ষ্টির মাঝেই সেদিন জয়ী হয়েছিল লতার প্রেম। পরিচিতি পেয়েছিল লতাও। ‘এই দৌড় ছিল আমার জীবনের লড়াই। জিতলে প্রাণ বাঁচবে। তাই সাহস ফিরে আসে। সবকিছু পেছনে ফেলে লক্ষ্য স্থির করি। আর তাতেই জয় আসে।’ জানিয়েছেন লতা।
লতা মহারাষ্ট্রের যে কোনো জায়গায় বয়স্ক নাগরিকদের বিভাগে ম্যারাথনের মধ্যমণি । সে রীতিমত সেলিব্রেটি, তাকে দেখতে ভিড় জমে রাস্তার দু’পাশে। দৌড়ের সময় কঠিন আত্মবিশ্বাসে লতার দ্ঢ় চিবুক অনেককেই প্রেরনা যোগাবে। লজ্জা-সংকোচকে জয় করে সংগ্রামের পথ কেই বেছে নিয়েছেন এই নারী। পরিস্থিতির চাপে হতাশা নয় বিপরীত পরিস্থিতির চোখে চোখ রেখে লড়াই করা শেখাচ্ছেন আশা।