বাংলাহান্ট ডেস্ক: কয়েক মাস আগে যেন আত্মহত্যার ধুম পড়েছিল বিনোদন জগতে। একের পর এক তরুণী অভিনেত্রী, মডেলদের আত্মহননের খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল টেলিপাড়া। শুরুটা হয়েছিল অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallabi Dey) কে দিয়ে। ছোটপর্দার অত্যন্ত পরিচিত, মিষ্টি মুখের মেয়েটির আচমকা এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে চোখ ভিজেছিল সকলেরই।
গত মে মাসে প্রয়াত হন পল্লবী দে। তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা বলেই অনুমান করেছিল পুলিস। আত্মহত্যার নেপথ্যে একাধিক কারণের মধ্যে শোনা গিয়েছিল, কাজের অভাবেই এমন পথ বেছে নিয়েছিলেন পল্লবী। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর চার মাস পরেও দর্শকরা দেখতে চলেছেন তাঁর কাজ। স্টার জলসার আসন্ন সিরিয়াল ‘বিক্রম বেতাল’এ দেখা যাবে প্রয়াত পল্লবীকে।
কিন্তু মৃত্যুর চার মাস পরে কীভাবে কোনো সিরিয়ালে দেখা যেতে পারে তাঁকে? আসলে বিক্রম বেতাল সিরিয়ালটির শুটিং এক বছর আগেই হয়ে গিয়েছিল। তখনো জীবিত পল্লবী। সে সময়েই অভিনয় করেছিলেন তিনি সিরিয়ালটিতে। কিন্তু যখন সিরিয়ালের সম্প্রচারের সময় এল তখন তা আর দেখে যেতে পারলেন না পল্লবী।
মেয়েকে ছাড়া চার মাস কাটিয়েছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা মা। বাকি জীবনটাও কাটাতে হবে। একথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। যে মেয়েকে চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলেছেন সেই মেয়েকে আরো একবার পর্দায় জীবন্ত দেখতে পাবেন, একথা জেনে চোখে জল পল্লবীর মায়ের।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ে আবার হাঁটবে চলবে, কথা বলবে সেটা দেখতে পেলেই খুশি। এটুকু আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পল্লবীর বাবা জানানহ মেয়ের মৃত্যুর পর টিভি দেখাই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সিরিয়ালের সবাইকে দেখলে নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে।
গত ১৫ মে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পল্লবীর দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা বললেও প্রেমিক তথা লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ আনেন অভিনেত্রীর বাবা মা। তারপরেই পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয় সাগ্নিককে।