বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঘড়ির কাঁটা ৯টা পেরোলেই চিন্তায় পড়ে যান বাসযাত্রীরা (Bus)। কারণ রাত ৯টার পর শহরের রাস্তায় সরকারি বাস (Government Bus) খুব একটা থাকে না। বেসরকারি বাসের সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এই আবহে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য (Government of West Bengal)। পরিবহণ নিগমের এই উদ্যোগের ফলে সুরাহা হবে বহু নিত্যযাত্রীর।
বাসযাত্রীদের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের (Government of West Bengal)!
এই রাজ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা যাতায়াতের জন্য বাস পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। তবে অফিস-কাছারি কিংবা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে একটু রাত হয়ে গেলেই সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ রাত ৯টার পর আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে বাসের সংখ্যা। নিত্যযাত্রীদের এই অভিযোগ বহুদিনের। এবার তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে চালু করা হচ্ছে ‘লেট নাইট’ সার্ভিস।
শহরের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে এবার রাত পৌনে ১১টায় শেষ বাস ছাড়বে। অর্থাৎ প্রায় ১২টা, সাড়ে ১২টা অবধি শহরের রাস্তায় বাস পাওয়া যাবে। রাজ্যের (Government of West Bengal) এই উদ্যোগের ফলে নিত্যযাত্রীদের অনেকখানি সুরাহা হবে। এখন প্রশ্ন হল, কোন কোন রুটে বেশি রাত অবধি বাস পাওয়া যাবে?
আরও পড়ুনঃ চাকরি না করেও এবার মিলবে নিশ্চিত পেনশন! কেন্দ্রের নয়া ঘোষণায় খুশির হাওয়া দেশে
রিপোর্ট বলছে, এসি ৫, এসি ১২ডি, এসি ২৪এ, এসি ৫০এ, এসি ৩৯, ই১, ইবি ১৪, এস ৭, এস ২৪, এস ৩এ, এস ৩০, এসি ৩৭, এস ১২ডি, এসি ৪৭, এস ১২, এসি ৫৪, এস ১০এ, এস ৩১, এস ২২, ই৩২- এই ২০টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে সোমবার থেকে শুক্রবার অবধি ‘লেট নাইট’ বাস পরিষেবা (Bus Service) মিলবে। এই বাসগুলি এক্সাইড, টালিগঞ্জ মেট্রো, ধর্মতলা, রুবি, উল্টোডাঙা, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়, শ্যামবাজার, ঠাকুরপুকুর, গিরীশ পারদ, খিদিরপুর, সায়েন্স সিটি, পার্ক সার্কাস সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় কভার করবে।
জানা যাচ্ছে, এই গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসও মিলবে। ফলে সুবিধা হবে নিত্যযাত্রীদের। এর আগেও ‘নাইট সার্ভিস’ ছিল। তবে করোনার সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে ফের সেই পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
‘লেট নাইট’ বাস পরিষেবার পাশাপাশি দূরপাল্লার রুটের জন্য ৬টি নতুন বাস কিনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। ৪৩ সিট বিশিষ্ট এই বাসগুলির প্রত্যেকটির দাম প্রায় সওয়া ১ কোটি টাকা। পরিবহণ নিগমের হাতে বর্তমানে প্রায় ৭০টি ভলভো বাস আছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে ডিপোয়। সেগুলি সারানোর পর দ্রুত নামানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ নিগমের কর্তারা।