বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য হোক বা কেন্দ্র এই মুহূর্তে সমস্ত সরকারি কর্মীদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ডিএ। গত মাসে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট। কমিশন গঠনের দিনক্ষণ জানার জন্য সমস্ত কেন্দ্রীয় (Central Government) সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল।
গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরেই চিন্তায় সরকারি (Central Government) কর্মীরা
জানা যাচ্ছে, এক্সপেন্ডিচার সেক্রেটারি মনোজ গোভিল সম্প্রতি এই বিষয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার কথা। তার আগে কমিশন গঠন হবে, সরকার (Central Government) সব অনুমোদন করবে।’ তিনি জানিয়েছেন সব ঠিক থাকলে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই কমিশন গঠন করা হতে পারে। ইকনমিক টাইমসের রিপোর্ট বলছে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেও কার্যকর হবে না অষ্টম বেতন কমিশন।
মনোজ গোভিল জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ডিওপিটি (কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) থেকে টার্মস অফ রেফারেন্স সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। একবার তাঁদের মতামত জানা গেলে টার্মস অফ রেফারেন্স ড্রাফট করা হবে। তারপরেই ক্যাবিনেটের কাছে অনুমোদন চাওয়া হবে।
প্রত্যেক বছর কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) সাধারণত মার্চ মাসে হোলির আগে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে। তারপর নতুন পে কমিশনও গঠন করা হতে পারে। সম্প্রতি ১০ ফ্রেব্রুয়ারি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারি (এনসি জেসিএম)-এর স্থায়ী কমিটির স্টাফদের সাথে কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ (ডিওপিটি) একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছিল। ওই বৈঠকে অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন, পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা কীসের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলেই খবর।
আরও পড়ুন: ২.১৯ লক্ষ কোটি সাশ্রয়! ‘মাঝে মাঝে’ DA দিয়েই ‘বড়লোক’ রাজ্য সরকার
জানা যাচ্ছে অষ্টম বেতন কমিশনের টার্মস অফ রেফারেন্স নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। এনসি-জেসিএম অষ্টম বেতন কমিশনের বিষয়ে সরকারের কাছে নানা পরামর্শ এবং প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। জানা যাচ্ছে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার আগেই সংগঠনটি একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকও করেছিল। ওই বৈঠকে নাকি এই সংক্রান্ত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। জেসিএম-এর তরফে সরকারের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বেতন কাঠামো, অবসরকালীন সুবিধা, মর্যাদাপূর্ণ জীবন মজুরির নীতি এবং সপ্তম বেতন কমিশনে থাকা ত্রুটিগুলি দূর করার দাবি করা হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন বেতন স্কেল মিশিয়ে দেওয়া এবং পারিবারিক পেনশন পরিবর্তনের দাবিও জানানো হয়েছে সেখানে।
এখানেই শেষ নয় এছাড়াও ডিএ বৃদ্ধির পুরনো নিয়ম অর্থাৎ পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী ডিএ বৃদ্ধির নিয়ম পুনরায় ফিরিয়ে আনারও দাবি জানানো হয়েছিল। এছাড়া আর্থিক ইনসেন্টিভ প্রদান, রেলওয়ে কর্মচারী এবং প্রতিরক্ষা বেসামরিক কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনের সময় যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকেন, সেগুলি মাথায় রাখার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। একইসাথে অস্ত্র, রাসায়নিক, গানপাউডার, অ্যাসিড তৈরিতেকাজের সাথে যারা যুক্ত তাঁদের বিপদ বুঝতে হবে এবং তাদের জন্য বিশেষ ঝুঁকি ভাতা, বীমা কভার, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।