ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ বিজ্ঞানীদের! পৃথিবীর জন্য অশনি সংকেত?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভিনগ্রহের প্রাণী সম্বন্ধে মানুষের কৌতুহল এর কোনো শেষ নেই। সেই সকল প্রাণী তথা এলিয়েনরা প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর বুকে কিংবা ভিনগ্রহে রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নানা গুণীর নানা মত প্রচলিত রয়েছে! অনেকে যেমন বিশ্বাস করেন যে, তারা আমাদের আশে পাশেই রয়েছে তো আবার অনেকের মতে, অন্য গ্রহে অবস্থান করে সেই সকল প্রাণীরা মানুষের ওপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে।

অতীতে আমেরিকাসহ একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে যে কোন মুহূর্তে মানুষের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে এলিয়েনরা! তবে আমাদের বিজ্ঞানীরাও এ প্রসঙ্গে কখনোই চুপ করে বসে থাকেননি। ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে কৌতূহলবশত একাধিক রিসার্চ করে চলেছেন তাঁরা। চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহের বুকে মহাকাশযান পাঠানো হোক কিংবা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেই সকল গ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে সর্বদাই নিত্যনতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়ে চলেছে নাসা সংস্থা।

অতীতেও বেশ কয়েকজন গবেষক দাবি করেছিলেন যে, মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। যদিও সেই সম্পর্কে 100% প্রমাণ কখনই তারা দিতে পারেনি। তবে সম্প্রতি ইউএফওর গবেষক স্কট সি ওয়ারিংয়ের গবেষণায় এমন কিছু তথ্য সামনে উঠে এসেছে, যা গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

জানা গিয়েছে, ইউএফওর এই গবেষক বহুদিন ধরে ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে পড়াশোনা করে চলেছেন আর এবার তাঁর হাতে এমন কিছু তথ্য এসেছে, যা সত্যি চমকপ্রদ। সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের বুকে তিনি রহস্যজনক এক বস্তুর আবিষ্কার করেন, যেগুলিকে দেখতে অনেকটা মিশরের পিরামিডের মতো বলে দাবি ঐ ব্যক্তির।

প্রসঙ্গত, কয়েক হাজার বছর ধরে মিশরের পিরামিডের রহস্য আমাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। কথিত আছে, এই পিরামিডের ভেতরে অসংখ্য মিশরীয় ব্যক্তিদের কবর দেওয়া হত এবং তাদের মৃতদেহ এখনো সেই সকল স্থানে সংগ্রহীত রাখা আছে। স্বভাবতই, মঙ্গল গ্রহের বুকে এহেন বস্তুর থাকা আসলে সেখানে অতীতে প্রাণের অস্তিত্বই প্রমাণ করে বলে দাবি ওয়ারিংয়ের।

এমনকি তিনি উল্লেখ করেন যে, মঙ্গল গ্রহের মাটিতে সেই সকল পিরামিডের সামনে একটি দরজারও দেখা মিলেছে। সুতরাং সেখান দিয়ে যাতায়াতের উদ্দেশ্যেই সেগুলি গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। সঙ্গে তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেন, “পিরামিডগুলিতে যখন দরজা রয়েছে, তার মানে ভিনগ্রহের প্রাণীরা সেখানে যাতায়াত করতো আর তারা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের পৃথিবীতেও আসতে পারে।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর