বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুকুমার রায়ের ‘রামগরুড়ের ছানা’ কবিতাটা পড়েছেন নিশ্চয়ই। রামগরুড়ের ছানাদের হাসতে বারন ছিল, তাই তারা কখনও হাসতো না। আপনি কি তেমনই? মানে সারাক্ষণ গম্ভীর হয়ে থাকেন, খুব কম হাসি দেখা যায় মুখে? তাহলে আপনার জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। ফিজিওলজিক্যাল রিসার্চাররা বলছেন এই একটি কারনেই অসুস্থ হতে পারেন আপনি। গবেষনায় উঠে এসেছে, সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, শরীরও থাকে। এক নজরে দেখে নিন হাসিখুশি থাকার কয়েকটি ভাল দিক-
কমে মানসিক অবসাদ- দশ বছর আগে এনসিবিআই এর ওয়েবসাইটে একটি গবেষনার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল সবসময় হাসিখুশি থাকলে শরীরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে অ্যাংজাইটি, মানসিক অবসাদ সবকিছুই দূরে থাকে। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে- নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষনাপত্র অনুযায়ী, সারাদিন হাসিখুশি থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই সহজেই এড়ানো যায় হার্ট বা রক্তচাপ সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা শুধুমাত্র মুখে হাসি এনে।
ব্যথার অনুভূতি কমে- একসঙ্গে অনেকে মিলে হাসাহাসি করলে শরীরের প্রাকৃতিক পেনকিলারের ক্ষরণ হয়। ফলে ব্যথার অনুভূতিও যেমন কমে তেমনই ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে- এনসিবিআইএর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল মন খুলে হাসলে মস্তিষ্কে একটি সংকেত পৌঁছায় যা মস্তিষ্ককে এত সক্রিয় করে যে স্ট্রেসের হার অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
আয়ু বৃদ্ধি- হাসিখুশি থাকলে আয়ু বৃদ্ধি পায়। সাগা পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষনার রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। তাই খারাপ চিন্তাকে দূরে সরিয়ে হাসতে থাকুন।