ভারতে বৈদিক সময়ে ঋষি মুনিদের নির্দেশ অনুযায়ী ঘটিতে জলপান করা হতো। কারণ ঘটির জলে সারফেসট্যান্সসেন (পৃষ্ঠটান) কম। ফলে শরীর পক্ষে ঘটির জল উপকারী। কিন্তু পরে ভারতে পর্তুগালরা আসার পর গ্লাসের প্রচার বেড়ে যায়। এরপর ভারতে গ্লাস উঠে গিয়ে প্রত্যেক বাড়িতে এখন প্লাস্টিকের বোতলে জল দেখা যায়। এরফলে ভারতের রোগের পরিমান ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ভারতীয়রা মাটির পাত্রে রান্না করা খাদ্য খেত যা সবথেকে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এখন ভারতীয়রা আলুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করা খাদ্য খায়, যা অত্যন্ত বিষাক্ত। তবে সরকার দেশের স্বার্থে একটা বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা হলো প্লাস্টিক ব্যান করে মাটির পাত্র ইত্যাদি প্রমোট করা। এরফলে একদিকে গ্রামীণ সমাজ অর্থিকদিকে মজবুত হবে একইসাথে মানুষ রোগমুক্ত হতে পারবে।
প্লাস্টিকের ব্যবহার কেবল মানুষই নয়, প্রাণীদের জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি কেবল পরিবেশকে দূষিত করে না, বিভিন্ন ধরণের রোগ ছড়ায়। শুধু এটিই নয়, সারা দেশে বর্ধমান বর্জ্যের সবচেয়ে বড় কারণও প্লাস্টিক, কারণ এটি নষ্ট করা খুব কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে প্লাস্টিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে ২ অক্টোবর থেকে একক প্লাস্টিকের ব্যাবহারের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করার জন্য, এমএসএমই মন্ত্রকের অধীনে কাজ করা খাদি গ্রাম শিল্পগুলি বাঁশের বোতল বাজারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমএসএমই মন্ত্রক অক্টোবরে এই বোতলটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের সাথে সাথে পরিবেশবান্ধব রাখার জন্যও উপকারী। এই বোতলটির ধারণক্ষমতা কমপক্ষে 750 এমএল হবে। এর দাম 300 টাকা থেকে শুরু হবে। এই বোতলটি দীর্ঘ সময়ের জন্য টেকসই হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরে সহজেই তা নষ্ট করা যাবে।
এই বোতলটি কেন্দ্রীয় এমএসএমই মন্ত্রী নিতিন গাডকারি ১ অক্টোবর লঞ্চ করবেন এবং এর বিক্রি ২ অক্টোবর থেকে খাদির দোকানে শুরু হবে। অতীতে প্লাস্টিক বন্ধ করতে এক্সেল গ্লাস প্রচার করা হয়েছিল। জানিয়ে দিন যে কেআইভিসি ইতিমধ্যে প্লাস্টিকের জায়গায় মাটির পাত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মাটির পাত্রের ব্যাবহার বাড়লে কুমোর সমাজ তাদের হারিয়ে যাওয়া কাজ ফিরে পাবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। দেশকে আর্থিক ও সামাজিকদিক থেকে শক্তিশালী করার দিকে এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।