বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাগুইআটিতে দুই কিশোরকে খুনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে শহরজুড়ে। এবার আদালতের তরফে নয়া নির্দেশ। ধৃত তিনজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের কথা ইতিমধ্যেই আদালত জানিয়ে দিয়েছে। পুলিশ তিন অভিযুক্ত অর্থাৎ শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাসকে বুধবার আদালতে হাজির করে। তবে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনো অধরাই রয়েছে ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়েই অভিজিৎ বসু নামে একজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। বাগুইআটিতে দুই কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করের খুনের ঘটনার সঙ্গে তার যোগসাজসের সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। অভিজিৎকে দুইদিন ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে অতনু ও অভিষেককে খুনের পর বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ফেলে দেওয়ার তথ্য।
সত্যেন্দ্র ও তার সহযোগীরা গত ২২ আগস্ট রাত ৯ টা নাগাদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে দুই কিশোরকে। ভাড়া করে আনা আরো চারজনের সাহায্যেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। গত মঙ্গলবার এদের মধ্যেই তিনজন পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। তবে বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র ও তার এক সহযোগী এখনো ফেরার।
বুধবার দুপুরে তিন অভিযুক্তকে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে পেশ করা হলে কোন আইনজীবী তাদের হয়ে মামলা লড়তে চাননি। তদন্তকারীরা ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের দাবি করেন। বিপরীত পক্ষে পাল্টা কোন সওয়াল না আসায় তদন্তকারীদের মতকে গ্রহণ করেন বিচারপতি। একইভাবে ধৃত অভিজিৎ বসুর হয়েও গত মঙ্গলবার বারাসাত আদালতে কোন আইনজীবী মামলা লড়তে চাননি।
প্রসঙ্গত ,বাগুইআটি খুনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। তীব্র সমালোচনার পর বরখাস্ত করা হয়েছে বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে। একসাথে গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইডির হাতে।