বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আইনজীবী রীপক কনসল আদালতে ৫০ পয়সার (50 Paise Coin) ২০০ টি কয়েন জমা করেন। প্রসঙ্গত, আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত কোর্টের রেজিস্ট্রির উপর ভিত্তিহীন অভিযোগ আনার পর ১০০ টাকার জরিমানা করে। আর সেই জরিমানা দেওয়ার জন্য আইনজীবী ৫০ পয়সার অজস্রে কয়েন জমা করেন। যেহেতু ৫০ পয়সার কয়েন এখন বাজারে উপলব্ধ না, তাও আইনজীবী চারিদিক থেকে খুঁজে খুঁজে ৫০ পয়সার কয়েন যোগাড় করেন।
উল্লেখ্য, আইনজীবী রীপক কনসল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছিলেন যে, রেজিস্ট্রি বড় বড় আইনজীবী এবং প্রভাবশালীদের মামলার শুনানির জন্য অন্য লোকেদের মামলা সরিয়ে তাঁদের মামলা প্রথম লিস্টে এনে দেয়। আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে বলেছিলেন যে, সুপ্রিম কোর্ট এর সেকশন অফিসার আর রেজিস্ট্রি নিয়মিত রুপে কিছু ল ফার্মস আর প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেয় যেটা সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় বিচার পাওয়ার সমান অধিকারের বিরুদ্ধে।
আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে কাছে দাবি করা হয়েছিল যে, শুনানির জন্য মামলা গুলোকে তালিকা ভুক্ত করতে পিক অ্যান্ড চুজ এর নীতি যেন না মানা হয় আর আদালতের রেজিস্ট্রির নিরপেক্ষতা এবং সমান ব্যবহারের নির্দেশ যেন দেওয়া হয়।সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অরুণ মিশ্রা, আবদুল নজির আর এম আর শাহ এর বেঞ্চ রীপক কনসল এর পিটিশনকে খারিজ করে ১০০ টাকার জরিমানা ধার্য করেন। আদালত নিজেদের রায়ে বলে, ‘রেজিস্ট্রির সমস্ত সদস্য দিনরাত আপনাদের জীবনকে সহজ বানানোর কাজ করছে। আর আপনি তাঁদের মনোবল ভাঙছেন। আপনি এরকম অভিযোগ কীভাবে করতে পারেন? রেজস্ট্রি আমাদের অধীনে নেই। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেরই অঙ্গ।”
এই জরিমানার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা ১০০ টাকা জমা দেওয়ার জন্য চাঁদা দেওয়া শুরু করে। এই অভিযানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে ‘Contribute Rs 100’ নামের একটি গ্রুপও বানানো হয়। সেখানে ১২৫ এর বেশি আইনজীবী রীপকের সমর্থনে কথা বলে। আর তাঁরা সবাই মিলে ৫০ পয়সার কয়েনের ব্যবস্থা করে রীপকের হাতে তুলে দেন।