বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মন্ত্রিত্ব ছেড়েই ঘনিষ্ঠ মহলে বিস্ফোরক লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। সুত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, সাড়ে চার বছর মন্ত্রী থাকাকালীন ওনার কাছে একটিও ফাইল পাঠানো হয়নি। তিনি শুধু নামেই মন্ত্রী ছিলেন, ওনার কাছে কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা ছিল না। কিছু কাজ করতে গেলেও বাধা দেওয়া হত বলে অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ওনার পদত্যাগের পর নবান্নে রাজ্যের মন্ত্রীসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লক্ষ্মীরতন শুক্লার প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘লক্ষ্মী খুব ভালো ছেলে। ও পদত্যাগ করতে পারে। ওঁর চিঠি পেয়েছি, সেই চিঠিতে মন্ত্রীত্ব নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবরকম পদ থেকে ও অব্যাহতি চায় বলে চিঠিতে লিখেছে। আমি রাজ্যপালকে এই নিয়ে চিঠি লিখব।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এটা বোঝা গিয়েছে যে, লক্ষ্মীরতন শুক্লা চিঠিতে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার কথা বলেন নি, উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্মান রেখে তিনি ওনাকেই বলেছেন তাকে যেন মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণ করে দেওয়া হয়।
প্রাক্তন ক্রীড়া মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সুত্র অনুযায়ী, লক্ষ্মীরতন শুক্লা অভিযোগ করে বলেছেন যে, দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর উনি মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের কোনও ফাইল’ই ওনার কাছে আসত না। এমনকি কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতাও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে তিনি কি এই ক্ষোভেই মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন?
যদিও ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি মন্ত্রিত্ব আর হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়লেও এখন বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না। উনি বিধায়ক হিসেবে আর কমবেশি চার মাস রয়েছেন, এরপরেই রাজ্যের নির্বাচন। আর এই চারমাস তিনি মানুষের হয়ে কাজ করতে চান শুধু। এছাড়াও তিনি ক্রিকেটের দিকেও মন দিতে চাইছেন।