বাংলাহান্ট ডেস্ক: আশ্বিনের কোজাগরী পূর্ণিমায় একই সঙ্গে পূজিত হন লক্ষ্মী আর সরস্বতী (Laxmi-Saraswati)। পূর্বপুরুষদের শুরু করা এই ঐতিহ্যবাহী পুজো বংশ পরম্পরায় এখনো হয়ে আসছে বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রামে। কোজাগরী পূর্ণিমা মূলত ধনদেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়। কিন্তু জ্ঞানের দেবী সরস্বতীও পূজিত হন একইসঙ্গে।
লক্ষ্মীপুজোতেই বাণীবন্দনা (Laxmi-Saraswati)
সাহা ও মণ্ডল পরিবারের উদ্যোগে লক্ষ্মী-সরস্বতীর (Laxmi-Saraswati) এই একসঙ্গে পুজো হয়ে আসছে ১৬২ বছর ধরে। দুর্গাপুজোর চেয়েও জাঁকজমক ভাবে লক্ষ্মী সরস্বতীর পূজায় মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ। একই চালায় সরস্বতী থাকেন লক্ষ্মীর বামদিকে। দুইপাশে দুজন করে চারজন সখী থাকে লক্ষী সরস্বতীর। দুজন সেবা দাসীও থাকেন।
তাঁদের উপরে থাকেন ‘লুক-লুকানি’। লক্ষ্মী সরস্বতীর মাথার উপরে বিরাজ করেন নারায়ন। বিষ্ণুপুরাণ মতে, নারায়ণের দুই স্ত্রী লক্ষী ও সরস্বতী। তাই এভাবেই পূজিত হন দুজনে। পাঁচ দিন ধরে চলে পুজো। পুজোকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে প্রায় সাত দিন ধরে। লক্ষ্মী সরস্বতীর পুজোয় আরো এক বিশেষত্ব হিসেবে ২৫০ থেকে ৩০০ কুইন্টালের বেশি জিডিপি বিক্রি হয়।
আরোও পড়ুন : অভিষেকের মেয়েকে কুরুচিকর মন্তব্য! মামলা উঠতেই এবার বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের
এই জিলিপি তৈরি হয় চালের গুঁড়ো থেকে। তাই এই জিলিপির সাথে অন্য জিলিপির থেকে আলাদা। বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী, নারায়ণের যেহেতু দুই স্ত্রী রয়েছে লক্ষ্মী ও সরস্বতী, তাই একজনকে ছেড়ে অপর জনকে কিভাবে পুজো করা যায়? বলছেন গ্রামবাসীরা। তাইতো পূর্বপুরুষের শুরু করা লক্ষ্মী সরস্বতীর (Laxmi -Saraswati) একত্রিত পুজো আজও চলে আসছে।
১৬ই অক্টোবর বুধবার থেকে লক্ষ্মী পূজার শুরু হয়ে চলবে ২০ শে অক্টোবর পর্যন্ত। পুজো কমিটির তরফ থেকে পুজোর ঘট উত্তোলনের সময় বিশেষ আতসবাজি প্রদর্শন হয়। এবারে তাদের পুজোর বাজেট ১৪ লক্ষ টাকা। হাড়দা গ্রামের বসবাসকারী প্রায় ৫০০টি সাহা এবং মন্ডল পরিবারের তরফ থেকেই এই চাঁদা দেওয়া হয়।