বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। এবার চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের দিকে। রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে লিফলেট। যদিও শাসক দল এটা বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেছে।
আচমকাই আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের বেরাবেরি সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে লিফলেট ছড়িয়ে পড়েছে। ওই লিফলেটে মোটা টাকার বিনিময়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে নদিয়া আর মুর্শিদাবাদ জেলায় বিধায়ক কোটায় চাকরি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
চাঞ্চল্যকর ওই লিফলেটে লেখা হয়েছে, ‘আমডাঙায় কি কোনও শিক্ষিত ছেলে নেই? যদি থাকে, তাহলে বিধায়ক কেন নিজের দুই গার্ডকে বিধায়ক কোটা থেকে অন্য জেলায় মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি করতে হল? যুব সমাজকে বঞ্চিত করার জন্যই কি ওনাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানানো হয়েছিল?” লিফলেটের নীচে পরিস্কার ভাষায় লেখা হয়েছে, ‘আমডাঙার মানুষ আর বিধায়ক রফিকুল রহমানের পাশে নেই। এখানকার মানুষ তৃণমূলের বিকল্প পেয়ে গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগানা জেলার বিধানসভা আসন গুলো এমনিতেই ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দল ঘোষণার পর তৃণমূলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর লিফলেটে তৃণমূলের বিকল্প পেয়ে গিয়েছি লেখাও সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
লিফলেট চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর তৃণমূলের বিধায়ক রফিকুল রহমান জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের আগে ওনার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই বিরোধী দলগুলো এই কাজ করেছে। তিনি সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথা রাজ্যে কারোর অজানা নেই আর। মানুষ এবার তাঁদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। নির্বাচনে দুর্নীতির মোক্ষম জবাব দেবে জনতা।”