ঘর পাওয়ার লোভ দেখিয়ে, ত্রাণ শিবিরে বেশি লোক ঢোকাও! ফাঁস হল বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একে করোনা, তারউপর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এরই মাঝে আবার পুরুলিয়ায় (Purulia) ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ উঠল বিজেপির (bjp) বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ইয়াস মোকাবিলার সুযোগ নিয়ে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার নোংরা রাজনীতি করে তৃণমূলকে (tmc) ফাঁসাতে চাইছে বিজেপি।

বিষয়টা হল- পুরুলিয়ায় বিজেপির কোর কমিটির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট ভাইরাল হয় স্যোশাল মিডিয়ায়। যে চ্যাটের মূল বিষয় হল- ইয়াস মোকাবিলার ত্রাণ শিবিরে ঘর পাওয়ার লোভ দেখিয়ে বেশি করে লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। যার ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে, তৃণমূল সরকার চাপে পড়বে। তবে সেই ভাইরাল চ্যাটের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।

https://www.facebook.com/DebangshuBhattacharyaOfficial/photos/a.510484245950339/1480858842246203/

ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা যায়- বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী লেখেন, ‘সব থেকে ভালো হবে, বেশি করে লোক স্কুলগুলিতে ঢুকিয়ে দাও। আর সবাইকে বলে দাও, যে সবাই ঘর পাবে। যত বেশি লোক একসাথে থাকবে, করোনা হবে আর সরকার ফাসবে। প্রত্যেকটি অঞ্চলে খবর দিয়ে দাও’।

বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর প্রস্তাবের উত্তরে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো লেখেন, ‘আপনি বলে দিন। সেন্ট্রালকে বলে আমি মিডিয়াতে দিয়ে দেব। আমাদের কর্মীদেরকে বলতে হবে বেশি করে ফটো ভিডিও করতে’। পাশপাশি আরও একজন লেখেন, ‘ওঁরা পলিটিক্স করে, আমরাও করব। ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিবেক এবং বিদ্যাসাগর’।

tmc vs bjp 1609482776

এই ঘটনার পরবর্তীতে বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ‘আগেও এরকম চক্রান্তের খবর পেলেও, এতদিন কোন প্রমাণ ছিল না আমাদের কাছে। তবে এটা খুবই লজ্জার, যে একজন নির্বাচিত একজন সাংসদ এরকম একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন!’

ঘর পাওয়ার খবর শুনে পুরুলিয়ার পাকাবাড়ি থাকা মানুষেরাও ত্রাণ শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ বরাবাজার থানা এলাকায় গিয়ে প্রচার করে, ‘এইধরনের রটনা মিথ্যে’। কিন্তু তাও মানুষজন ত্রাণ শিবিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এপ্রসঙ্গে দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা পুরোটাই ফেক। নিশ্চয়ই এটা তৃণমূলের কাজ, আমি এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর