বাংলাহাণ্ট ডেস্কঃ আমাদের প্রত্যেকের জীবনই নানা সমস্যায় পরিপূর্ন। জ্যোতিষ মতে আমাদের জন্মছক বা পূর্বজন্মের কোনো কারনে ঘটে এই সব সমস্যার সূত্রপাত। বিভিন্ন রত্ন ধারন করলে অনেকসময় এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু অর্থনৈতিক কারনে অনেক সময় এই বহু মূল্য রত্ন আমাদের পক্ষে ধরন করা সম্ভব হয় না। জ্যোতিষ বলে রত্ন ধারন না করতে পারলেও কিছু সাধারন নিয়ম মেনে চললেও এই দুর্ভাগ্যকে রুখে দেওয়া সম্ভব। আমরা অনেকেই শনি দেবতার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য কালো সুতো পরিধান করি। সঠিক ভাবে পরিধান করার নিয়মগুলি জেনে নিন
- কালো সুতোতে অবশ্যই নয়টি গিঁট বেঁধে তারপর তা গোড়ালিতে পরতে হবে।
- কালো সুতো পরা আগে অবশ্যই তা শনিদেব ও হনুমানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা উচিত। এটি করলে সুতোটি শক্তিশালী হয়ে ওঠে পবিত্র মন্ত্রের দ্বারা।
- শুভ সময়ে পরিধান করুন কালো সুতোটি। আপনি কোনও পুরোহিত বা জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
- আপনি যখন আপনার গোড়ালি, কোমর, গলা বা হাতে কালো সুতো বাঁধবেন তখন এটি ২, ৪, ৬ বা ৮টি বৃত্তে বাঁধবেন
- ভগবান হনুমানকে অর্পণ করার পরে গলায় কালো সুতো বাঁধলে, সেই ব্যক্তি স্বাস্থ্য এবং ইতিবাচক শক্তির আশীর্বাদ পায়
- আপনি যদি শনি দেবতার আশীর্বাদ পেতে চান এবং আপনার শত্রুদের থেকে অক্ষত থাকতে চান তবে, আপনাকে অবশ্যই পুরোহিতের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে শনিবার এই সুতোটি পরতে হবে নয়টি গিঁট বেঁধে।
- আপনার দেহের যেকোনও অংশে কালো সুতোর বাঁধার পরে রুদ্র গায়ত্রী মন্ত্রটি পাঠ করুন। মন্ত্রটি হল – ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি।। তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ।।
- যাঁরা ইতোমধ্যে হাতের কব্জিতে হলুদ, লাল বা গেরুয়া রঙের সুতো পরেছেন, তাদের অবশ্যই কোনও কালো সুতো বাঁধা উচিত নয়।
- যাঁরা ইতোমধ্যে হাতের কব্জিতে হলুদ, লাল বা গেরুয়া রঙের সুতো পরেছেন, তাদের অবশ্যই কোনও কালো সুতো বাঁধা উচিত নয়।