শঙ্খ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি ভুল করবেন না জেনে নিন

বাংলাহাণ্ট ডেস্কঃ আমাদের প্রত্যেকের জীবনই নানা সমস্যায় পরিপূর্ন। জ্যোতিষ মতে আমাদের জন্মছক  বা পূর্বজন্মের কোনো কারনে ঘটে  এই সব সমস্যার সূত্রপাত। বিভিন্ন রত্ন ধারন করলে অনেকসময় এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু অর্থনৈতিক কারনে অনেক সময় এই বহু মূল্য রত্ন আমাদের পক্ষে ধরন করা সম্ভব হয় না। জ্যোতিষ বলে রত্ন ধারন না করতে পারলেও কিছু সাধারন নিয়ম মেনে চললেও এই দুর্ভাগ্যকে রুখে দেওয়া  সম্ভব। আবার ভুল ব্যবহারে হতে পারে মারাত্মক বিপদ। জেনে নিন শঙ্খ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি করবেন না

shell 4718200 960 720

শঙ্খ  হলো একজাতীয় বড় আকৃতির সামুদ্রিক শামুক। এর খোল দিয়ে অলঙ্কার , বাদ্যযন্ত্র , ইত্যাদি তৈরি করা হয় । পাশাপাশি হিন্দু ধর্মেও এই শঙ্খ বিশেষ গুরুত্ব পায়। হিন্দু সধবা রমণীরা হাতে শঙ্খ দিয়ে তৈরী “শাখা” পরে। বিভিন্ন পূজা-পার্বণ এবং শুভ কাজের শুরুতে বিশেষভাবে কাঁটা শঙ্খের বাঁশি বাজানো হয়। হিন্দু ধর্মে শঙ্খের ধ্বনি পবিত্র বলে ধরা হয়। পূজা অর্চনা, পুত্রসন্তানের জন্ম, অন্নপ্রাশন, শ্মশানযাত্রা ইত্যাদি সময়ে শঙ্খধ্বনি করা হয়। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পঞ্চপান্ডব ও শ্রীকৃষ্ণ শঙ্খধ্বনি করেন । অন্যান্য দেবদেবীদের হাতেও শঙ্খ দেখা যায়। 

  • শঙ্খ কেনার সময় একইসঙ্গে দুধরনেরই কিনবেন। বাড়িতে সেগুলিকে অবশ্যই পৃথকভাবে রাখবেন।
  • বাজার থেকে এনেই সেগুলি ব্যবহার করবেন না। গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে সেগুলি ঠাকুরের স্থানে রাখুন।
  •  শিবের মাথার উপরের দিকে কোথাও শঙ্খ রাখবেন না। শখটি তাঁর পায়ের কাছে রাখুন।
  • শঙ্খের জল যেন শিবের মূর্তি অথবা শিবলিঙ্গে না পড়ে। শাঁখটি এমনভাবে রাখবেন, যাতে তার সূচালো দিকটি ভগবানের দিকে থাকে।
  • পরিবারের কল্যাণের জন্য প্রতিদিন সকালে স্নান করে শঙ্খধ্বনি দিতে পারেন। তবে শঙ্খ বাজানোর পর অবশ্যই তা ধুয়ে রাখুন। না ধুয়ে রাখবেন না শঙ্খ।
  • অনেকেই সূর্য দেবের পুজায় গঙ্গার জল শাঁখের মধ্যে দিয়ে ব্যবহার করবেন না।

সম্পর্কিত খবর