বাংলা হান্ট ডেস্ক: বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন আর. মধুসূদন। সেখানেই কাশ্মীর নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। পাকিস্তান যেভাবে বেআইনিভাবে কাশ্মীরের কিছুটা অংশ দখল করে রয়েছে তা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে।
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানান যে, “গোটা জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই বিষয়ে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনৈতিক ও অবৈধ ভাবে কাশ্মীরের একটা অংশ দখল করে রয়েছে পাকিস্তান। যা ‘পিওকে’ নামে পরিচিত। অবৈধভাবে অধিকৃত সেই এলাকা খালি করার জন্য পাকিস্তানকে আহ্বান জানাচ্ছে ভারত।”
এদিকে, এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয় পাকিস্তানও। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে পাক প্রতিনিধি মুনির আক্রম জানান যে, “পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের মদত দিচ্ছে ভারত।”
যদিও, এই প্রসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি জানান যে, “নিজের দেশে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিতে ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। এই কথা আজ স্বীকৃত।”
পাশাপাশি, বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে মুম্বাই হামলা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ভারত। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় অভিযুক্তদের এখনও বিচার হয়নি। বরং তারা রীতিমতো সুখেই পাকিস্তানে দিন কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত স্বাধীন হওয়ার পরই কাশ্মীর সমস্যার সূত্রপাত হয়। তৎকালীন রাজা হরি সিং-এর দুর্বলতার সুযোগে ওই অংশের অবৈধভাবে দখল নিয়ে নেয় পাকিস্তান। পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান, স্কর্দু উপত্যকার মতো এলাকাগুলিতে অধিকার কায়েম করে ইসলামাবাদ।
তারপর এই নিয়ে একাধিক যুদ্ধ হলেও ওই অঞ্চল থেকে সেনা অপসারণ করেনি পাকিস্তান। যদিও, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীর ও “পিওকে” নিয়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্র।