রাতে ছাগল হত্যা, সকাল পর্যন্ত বাড়ির উঠোনেই বসে ছিল চিতাবাঘ! গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক

গুলদার নামের একটি চিতাবাঘ উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য জেলাগুলিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। একসময় বনের মধ্যে নিজের বিচরণ ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ রাখা গুলদার এখন নির্ভয়েই গ্রামে প্রবেশ করছে। গুলদারের এই খবরের মধ্যে বাগেশ্বর থেকে এক ভয়াবহ সংবাদ এসেছে।

images 2020 12 12T144407.057

গুলদার এক গ্রামের মাঝখানে গোশালায় প্রবেশ করে দুটি ছাগল মেরেছিল। শুধু এখানেই নয়। গুলদার হত্যার পর সকাল অবধি বাড়ির আঙ্গিনায় বসে ছিল। বাড়ির মহিলা খুব ভোরে দরজা খুললে গুলদারের গর্জন শুনে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে মহিলাটি চিৎকার করে গ্রামবাসীকে এই ঘটনাটি জানায়। গ্রামবাসীরা কোনওভাবে গুলদারকে সেখান থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ধরমঘর এলাকার ধাপ্টি গ্রামের। এখানে ছাগল পালক পুষ্প দেবী তাঁর পরিবারের সাথে থাকেন। শুক্রবার রাতে পুষ্প দেবী ও তার পরিবার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। তখন গুলদার এই বাড়ির গোশালায় ঢুকে দুটি ছাগল হত্যা করে।

শনিবার সকালে দরজা খোলার সাথে সাথে গুলদারকে উঠোনে বসে থাকতে দেখা যায়। ভয় পেয়ে পুষ্প দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেন। তিনি চিৎকার করে গ্রামবাসীদের কাছে ঘটনাটি জানায়। আর্তনাদ শুনে গ্রামবাসীরা ক্যানেস্তারা বাজাতে শুরু করল, আতশবাজিও ফাটানো হয়, তখন গুলদার সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের মতে গুলদার তার ছেড়ে যাওয়া শিকারটি নিতে গ্রামে ফিরে আসবে।

স্থানীয়রা বন বিভাগকে গ্রামে খাঁচা পাতার আবেদনও করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে। বন দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এলাকায় টহল বাড়ানো হবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন।

 


সম্পর্কিত খবর