বাংলা হান্ট ডেস্ক: এমনিতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তবে এবার চুরি, দুর্নীতি অতীত! রাজ্য জুড়ে লোকসভা নির্বাচন পর্বের মধ্যেই চিতা বাঘের চামড়া পাচার করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে গ্রেপ্তার (Arrested) হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী এবং তার ভাই।
চিতা বাঘের চামড়া পাচার করতে গিয়ে সময় বনদপ্তরের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।প্রসঙ্গত চিতা বাঘের চামড়া পাচারের বিষয়ে বনদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীদের কাছে আগে থেকেই খবর।
ছিল তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েই ওই চিতা বাঘের চামড়া উদ্ধারের জন্য বনদপ্তর এবং ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো অত্যন্ত গোপনে একটি অভিযান চালিয়েছিল।পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরার জন্য তাঁরা নিজেরাই এদিন ক্রেতা সেজে লেপার্ডের চামড়া কিনতে মোটা টাকার টোপ দিয়েছিলেন।
টাকার অংক শুনেই পরিকল্পনামাফিক পাচারকারীরাও সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলন। আর তারপরেই লালবাগের মতিঝিল পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি হোটেলে হানা দিয়ে কয়েক মিটার লম্বা পূর্ণবয়স্ক একটি লেপার্ডের চামড়া উদ্ধার করা হয়।গোয়েন্দাদের হাতেনাতে এদিন যে দুজন পাচারকারী ধরা পড়ে, তাদের নাম সাবিরুল ইসলাম ও মাশারুল মণ্ডল।
আরও পড়ুন: অবাক কান্ড! শেষ পর্যন্ত শিয়ালদা স্টেশনের এই জিনিস চুরি হল! হতবাক যাত্রী থেকে রেল-কর্তৃপক্ষ সবাই
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এদিন হোটেল থেকে যে চিতাবাগের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে তা কয়েক মিটার লম্বা পূর্ণবয়স্ক একটি চিতা বাঘের চামড়া। সূত্রের খবর ধৃত ওই দুই ব্যক্তি নাকি মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার গুধিয়া অঞ্চলে তৃণমূল নেতা।শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে চিতা বাঘের চামড়া পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত সাবিরুল আসলে তেতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী অন্যদিকে অভিযুক্ত মাশারুল হলেন সাবিরুলের ভাই।
জানা যাচ্ছে ওই দিন হাতে-নাতে ধরা পড়ার পর বনদপ্তরের তরফে তাদের দুজনকেই মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তরা কোথা থেকে ওই লেপার্ডের চামড়া এনেছিল? কিংবা সেই চামড়া কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে সব বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় বন দফতরের তরফেও নাকি পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।