এবার মেদিনীপুরেও কি খড়্গপুরের দশা? ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের চিঠি অভিষেককে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার গত বুধবার ইস্তফা দিয়েছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছিলেন দলের কাউন্সিলররা। সেই খড়গপুর পুরবোর্ডের সংক্রমণ কি এবার ছড়িয়ে পড়ল মেদিনীপুর পুরসভাতেও? তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলর এবার মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে চিঠি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

মোট ২৫ টি আসন রয়েছে মেদিনীপুর পুরসভায়। পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপি বিষয়ী জানিয়েছেন, “পুরসভা চলছে চেয়ারম্যানের একার সিদ্ধান্তে। তিনি কাজ নিয়ে কারোর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেন না। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে আমরা ১১ জন কাউন্সিলর মিলে চিঠি দিয়েছি।” অভিষেকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে একটি কমন বয়ানে। সেই চিঠিতে ১১ জন কাউন্সিলর সই করেছেন।

লিপি বিষয়ীর দাবি, “৩ কাউন্সিলর এই মুহূর্তে বাইরে রয়েছেন। তাঁরাও এই চিঠিতে সই করবেন।”
অন্যদিকে, মেদিনীপুর পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, “কোনরকম অসুবিধা নেই এখানে কোথাও। আমি কাজ করি সবাইকে নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করে যাচ্ছি।” বিদ্রোহী কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, এর আগে বহুবার তাঁরা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ফলে তাঁরা বাধ্য হয়ে চিঠি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।abhishek

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বীরভূমের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “এই ১১ জন কাউন্সিলর দলের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছেন। আমার কিছু বলার নেই বিষয়টি নিয়ে।”
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির এক নেতা বলেছেন,”ওরা আগে বলতো খেলা হবে। এখন খেলা হচ্ছে নিজেদের মধ্যেই। বাকি পুরসভাতেও এই অবস্থা হবে।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর