বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লেটার প্যাডে স্বয়ং মন্ত্রীর সই! তা দেখালেই হাসপাতাল থেকে অফিস এবং অন্যান্য একাধিক প্রয়োজনীয় কাজে মিলবে সুবিধা। এ সকল লেটার প্যাডগুলি বিক্রি করেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছিল এক ব্যক্তি আর এই খবরটি সামনে আসতে গ্রেফতার করা হলো অভিযুক্তকে। আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়ার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন। মন্ত্রীর সই কি আদতে ভুয়ো আর যদি তা না হয়, তবে স্বাক্ষর সহ লেটার প্যাড কোথা থেকে জোগাড় করলো অভিযুক্ত, সে বিষয়ে জানতে বর্তমানে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনাটি আসানসোল জেলার জামুরিয়ার পানিহাটি এলাকার। পানিহাটির একটি ইসিএল ওয়ার্কশপে ফিটার হিসেবে কর্মরত ছিল রনজিৎ রায় নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি। অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রীর সই করা লেটার প্যাড বিক্রি করতে থাকে সে এবং সেগুলির বিনিময়ে প্রচুর পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে। এ বিষয়টি মন্ত্রীর অফিসের নজরে আসতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং বর্তমানে রনজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রনজিতের কাছ থেকে যে সকল স্ট্যাম্প কিংবা সই সহ লেটার প্যাড পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি ‘ভুয়ো’। এক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে অন্যান্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মন্ত্রীর সই করা প্যাড দেখালে যে অধিক সুবিধা পাওয়া যেত, সে কথা এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন রণজিৎ। সেই সূত্রে সে একাধিক লোকেদের এ সকল প্যাড বিক্রি করে টাকা কামাত বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চললেও সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক পরিচালিত অফিসের। এরপরেই শম্ভু শুক্লা নামে এক অফিস কর্মী স্থানীয় থানে অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তীতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মন্ত্রীর সই করা লেটার প্যাড বিক্রি এবং টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে রনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। পুলিশের তরফ থেকে সই এবং স্ট্যাম্পগুলি ভুয়ো বলা হলেও তদন্তে কোনরকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না তারা। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা জানতে তৎপর প্রশাশন।