রাম-রহিম, রিঙ্কি-পিঙ্কি কি বিয়ে করতে পারবে? একটু পরেই ঐতিহাসিক রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশে কি স্বীকৃতি পেতে চলেছে সমলিঙ্গে (Same Sex Marriage) বিবাহ? মঙ্গলবার ঐতিহাসিক রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই লিঙ্গের দুটি মানুষ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে কি না তা নির্ভর করছে আজকের এই রায়ে।

উল্লেখ্য, সমপ্রেম বা সমলিঙ্গে সম্পর্ক যে অপরাধ নয়, তা আগেই জানিয়ে ছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তবে সমলিঙ্গের বিয়ে (Same sex marriage) এখনও আইনি সিলমোহর পায়নি। এই নিয়ে গত এপ্রিল-মে মাসে টানা বেশ কয়েকদিন এই মামলার শুনানি হয়। এরপর রায় সংরক্ষিত রাখে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।

শুনানি চলাকালীন আবেদনকারীরা আইনজীবী মুকুল রোহাতগি, অভিষেক মনু সিংভি, রাজু রামচন্দন, আনন্দ গ্রোভার, গীতা লুথরা প্রমুখদের মাধ্যমে সমপ্রেমে অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়।

এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, বিবাহিত সম্পর্কে বলতে যা বুঝি আমরা, তাতে দুই মানুষকে বিপরীত লিঙ্গেরই হতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা রয়েছে? এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সমকামী (Gay & Lesbian) সম্পর্ককে শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক হিসেবে দেখি না আমরা। বরং এই ধরনের সম্পর্ক তার চেয়ে বেশিই, স্থিতিশীল, আবেগমিশ্রিত, এবং মানসিক সংযোগও জড়িয়ে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম সারির আইনজীবীরা এই মামলার শুনানিতে অংশ নেন। মামলাকারীদের আশা, শীর্ষ আদালত এই ধরনের বিয়েতে সম্মতি দেবে। ইতিমধ্যেই সেই জন্য উদযাপন ও প্রস্তুতি প্রায় সে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।

lgbtq

অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে সমলিঙ্গের বিয়েতে (LGBTQ) বরাবরই আপত্তি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় জানিয়েছে, এই ধরনের দাম্পত্য সম্পর্ক ভারতীয় সংস্কৃতিতে পরিবারের ধারণার পরিপন্থী। দেশের সনাতন ধারণা হল শারীরবৃত্তীয় ভাবে একজন পুরুষের সঙ্গে শারীরবৃত্তীয়ভাবে একজন নারীর দু’জনের সম্পর্ক হতে পারে। অন্য কোনও সম্পর্ক ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পরিপন্থী।

Monojit

সম্পর্কিত খবর