নিজের শিষ্যাকেই ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সাজা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আশারাম বাপুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবশেষে এল বিচারের বাণী। ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত আশারাম বাপুকে (Asaram Bapu) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Sentence) সাজা শোনাল গুজরাট আদালত। শিষ্যাকে লাগাতার ধর্ষণের (Raping Former Woman Disciple) অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন আশারাম। সোমবার এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে এই ঘটনায় আশারামের শাস্তি কী হবে তা স্থগিত রেখেছিল গান্ধীনগর আদালত। মঙ্গলবারই হল শাস্তিই ঘোষণা। এদিকে, অপর একটি ধর্ষণ মামলায় যোধপুরে ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন জেল খাটছেন আশারাম।

মঙ্গলবার গান্ধীনগর আদালত যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেয়। প্রসঙ্গত, সুরাটের এক মহিলা আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। ওই মহিলা অভিযোগ করে বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল গুজরাটের সুরাটের এক আশ্রমে তাঁকে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেন আশারাম। এমনকী হুমকিও দেয়।

asaram 2

আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। যৌন হেনস্থা, ধর্ষণ, নারী পাচার, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। সোমবার আশারামকে ভিডিও কনফারেন্সে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় আরও ছয় জনের নাম যোগ করা হয়।

২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর আসারামের বিরুদ্ধে আমেদাবাদের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আরও ৬জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সুরাটের এক মহিলা আসারামের আশ্রমে থাকতেন। সেই সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি আশ্রম থেকে পালিয়ে যান। এদিকে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হয়। এদিকে নির্যাতিতা মহিলার বোনকে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আসারামের ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ছেলে নারায়ণ সাইকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুরাটের দায়রা আদালত। এই ঘটনায় আশারাম ছাড়াও স্ত্রী লক্ষ্মী, মেয়ে ভারতী ও ধ্রুববেন ও অন্য দুইজন নির্মলা ও মীরার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। অবশ্য প্রমাণের অভাবে তাঁদের বেকসু

Sudipto

সম্পর্কিত খবর