বাংলাহান্ট ডেস্ক : (Kolkata) কলকাতায় এবারের গরম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তীব্র গরমে জ্বলছে গোটা বাংলা। একাধিক জায়গায় স্বাভাবিকের থেকে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি বেশি। আগামী সোমবার পর্যন্ত আপাতত রয়েছে তাপ প্রবাহের সর্তকতা। পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই কোথাও। এই আবহে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিচ্ছে জল সংকট।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কথায়, ভূগর্ভস্থ জল রিচার্জ করার প্রক্রিয়া হচ্ছে না কোথাও। যদি বৃষ্টির জল ধরে রেখে আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। তবে সেটিও হচ্ছে না। সোজা কথায় বলতে গেলে মাটির তলার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে না। উল্টে মাটির তলা থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লিটার জল (Water) উত্তোলন করা হচ্ছে।
আরোও পড়ুন : বাজার শেষ ইউটিউবের! এবার X হ্যান্ডেল আনছে টিভির অ্যাপ্লিকেশন, নয়া প্ল্যানিং মাস্কের
পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানান, কলকাতা (Kolkata) সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জল রয়েছে মাটির ৩০ থেকে ৪০ মিটার নিচে। তাই কলকাতার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ বলছেন, গাছের মাধ্যমে বৃষ্টির জল মাটির নিচে চলে যায়। কলকাতায় গত ১০ বছরে গাছ কমেছে ৩০ শতাংশ।
আরোও পড়ুন : গাড়িতে সাদা LED হেডলাইট আছে? হয়ে যান সাবধান! এবার দিতে হবে মোটা টাকার চালান
বলা যেতে পারে গাছ প্রায় নেই। কলকাতা যেন মরুভূমি। এর ফলে জল গাছের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারছে না মাটির নিচে। যেমনভাবে চারদিক বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিক কাজ নয়। গাছের গোড়া পর্যন্ত বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরে মাটির নিচে জল ঢুকতে পারছে না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো সময় এখনো রয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্র থেকে দৈনন্দিন জীবন, পরিবর্তন আনতে হবে সবকিছুতে। যদি সেটা না করা হয় তাহলে কলকাতাও বেঙ্গালুরুর মতো চরম জল সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। সোমেন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, লু বওয়ার ফলে জলস্তর আরো কমবে। ২ ফুটে এসে নেমেছে কলকাতার বড় ওয়াটার বডিগুলির গভীরতা। এগুলি আমাদের বারবার সতর্ক করছে। এখনই সাবধান না হলে অচিরেই রয়েছে বড় বিপদ।