বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) জয় এখন অতীত। লিওনেল মেসির (Lionel Messi) এই মুহূর্তে লক্ষ্য হলো পিএসজির (PSG) হয়ে পরপর ট্রফি জয়। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে তার প্রথম মরশুমটা খুব একটা ভালো যায়নি। কিন্তু চলতি মরশুমে অসাধারণ ছন্দে রয়েছেন তিনি। নিজে গোল করার পাশাপাশি নিয়মিত কিলিয়ান এমবাপ্পে (Kylian Mbappe) এবং নেইমার জুনিয়রকে (Neymar Jr.) দিয়ে গোল করাচ্ছেন। তবে এই প্রথম তিনি বিস্তারিতভাবে নিজেদের বিশ্বকাপ জয়ের অভিযান নিয়ে মুখ খুলেছেন আর্জেন্টিনার (Argentina) একটি রেডিওর সামনে।
আর্জেন্টিনার রেডিও আরবান প্লে-কে তিনি সরাসরি বলেছেন, “আমার পরিবারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ সবসময় আমার পাশে থাকার জন্য। অনেক খারাপ সময়ে এসেছে যখন আমার পরিবার আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস দিয়েছে। আমার খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তাদেরকেও অনেক সময় খারাপ কথা সহ্য করতে হয়েছে। এরপর আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, কোপা আমেরিকা জিতেছি, একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সবাই শান্তি পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “যখন বিশ্বকাপ ট্রফিটা প্রথমবার ছোঁয়ার সৌভাগ্য হলো, তখন মনে হলো যে ট্রফিটা আমায় বলছে এবার তুমি আমায় ছুঁয়ে দেখতে পারো। ওই মুহূর্তে আমি ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমরা সত্যিই এটা করতে পেরেছি। বার্সেলোনার হয়ে আমি সমস্ত কিছু জিতে ছিলাম। এবার দেশের হয়েও সব কিছু জেতা হয়ে গিয়েছে।”
এরপর মারাদোনার এই সময়ে না থাকা নিয়ে কিছু টাকা দুঃখ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তিনি মারাদোনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, “দিয়েগো বেঁচে থাকলে হয়তো কাপটাই ও নিজেই আমার হাতে তুলে দিত। আমার মনে হয় আমি উপর থেকে ওর এবং আরো অনেকের শুভকামনা পেয়েছি যার জন্য শেষ পর্যন্ত এই স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনাল জেতার পর আমার ইনস্টাগ্রামে এত মেসেজ এসেছিল যে কিছুক্ষণের জন্য অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে গিয়েছিল। আমি পরে জানতে পেরেছি যে আমার ছবিটা সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া ছবি হয়েছে। হয়তো সবাই আমার বিশ্বকাপ হাতে ছবিটা দেখতে চাইতেন।”
সেইসঙ্গে বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মেসি জানিয়েছেন যে গ্রুপ পর্বের মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচটা তার কাছে সবচেয়ে বেশি কঠিন বলে মনে হয়েছে কারণ তখন আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছিল। গোটা বিশ্বকাপে মেসি ৭ গোল করেছেন এবং ৩টি গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলের খেতাবটিও এসেছে তার ঝুলিতে।