বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মেসিকে কি আর আদেও আটকানো সম্ভব? অনেকেই এই প্রশ্ন এবার তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। ২০২১ অবধি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ট্রফিটাই অধরা ছিল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। কিন্তু তারপর ১৭ মাসের মধ্যে কোপা আমেরিকা এবং ফাইনালেসিমা জেতা হয়ে গিয়েছে তার। এবার বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের সেরার তর্কে যাবতীয় ইতি টানতে চলেছেন তিনি, এমনটা তার সমর্থকদের পাশাপাশি নিন্দুকরাও স্বীকার করতে শুরু করে দিয়েছেন।
গ্রুপ পর্বে শুধুমাত্র পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মেসি। এছাড়া বিশ্বকাপে এখনো অবধি খেলা পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই গোল পেয়েছেন তিনি। দুবার গোলের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন মেসি। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলও ছিটকে গিয়েছে। এরপরে আর কারোর পক্ষেই মেসিকে থামানো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।
আর শুধুমাত্র মেসিই যে আর্জেন্টিনাকে টানছেন এমনটা নয়। এবার অন্যান্য বেশ কিছু ফুটবলারদের সাথে সাথে ভাগ্যও তাদের সঙ্গ দিচ্ছে। নয়তো কাল নেদারল্যান্ড নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সময় যে দূরন্ত কামব্যাক করেছিল, তারপর অনেকেই ভাবতে পারেনি যে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা পেনাল্টি শ্যুট আউটে নিজেদের নার্ভ ধরে রাখতে পারবেন। কিন্তু গোলরক্ষক এমিলিয়ানো ও মার্টিনিজ দুটি অসাধারণ সেভ করে আর্জেন্টিনাকে নিজেদের কাঙ্খিত সেমিফাইনালে টিকিট জোগাড় করে দিয়েছেন।
মেসি এর আগে চারটি বিশ্বকাপ খেলেও বিশ্বকাপের নকআউট পর্যায়ে কোনও গোল করতে পারেননি। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডস দুটি দলের বিরুদ্ধেই শেষ হল এবং কোয়ার্টার ফাইনালে গোল পেয়েছেন তিনি। যাবতীয় বিতর্কে যেন অবসান ঘটিয়ে মেসি বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে এবার আর কোন বিতর্কেরই জায়গা নেই তার সর্বকালের সেরা হওয়া নিয়ে।
আপাতত সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় মেসির আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়া, ব্রাজিলকে ছিটকে দিয়ে এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের মনের চোর এবং জেদ চূড়ান্ত থাকলেও তাদের আক্রমণ ভাগে এমন কোন ফুটবলের নেই যিনি ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। এমন অবস্থায় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জয়ী লুকা মদ্রিচকে আবারও ট্র্যাজিক নায়কের সম্মান নিয়েই দেশে ফিরতে হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।