পুজোতে বসে বসে হবে আয়, মদের দোকানের লাইসেন্স দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এভাবে করুন আবেদন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সারা বঙ্গ জুড়ে এখন পুজোর আমেজ। ৮ থেকে ৮০, সবার মুখেই এখন পুজোর আনন্দ। এই সময়টাতে অনেকেই নতুন ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করে থাকেন। কেউ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা শুরু করেন, আবার কেউ জামা কাপড়ের ব্যবসা করেন। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে মদের ব্যবসা কীভাবে শুরু করা যায়?

গোটা দেশের মতো আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও বেশ লাভজনক মদের ব্যবসা। এই মদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ সরকারি অনুমতির। সবাই আবার এই মদের দোকান খোলার লাইসেন্স পান না। বিশেষ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে যাওয়ার পর পাওয়া যায় মদের দোকান খোলার লাইসেন্স। আজ আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরোও পড়ুন : আধার, প্যান কার্ড তো অনেক হল! এবার নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের, আসছে নতুন এক পরিচিতি

সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আবদারি দপ্তর মদের দোকান খোলার লাইসেন্স জারি করে থাকে। বৈধ সরকারি অনুমতি ছাড়া মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য বিক্রি সম্পূর্ণভাবে আইনবিরুদ্ধ। রাজ্য সরকার বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট ২০১২ এর অধীনে রেস্তোঁরা, হোটেল, ক্লাব ইত্যাদির জন্য মদের লাইসেন্স নেওয়া ও বলবৎ করা বাধ্যতামূলক করেছে।

আরোও পড়ুন : ‘ভিক্ষা নাকি?’ পুজোয় দৈনিক মজুরি মাত্র ১০ টাকা বাড়ায় কর্মবিরতি সাফাইকর্মীদের! হুলস্থূল হাওড়ায়

মদের দোকান খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে পশ্চিমবঙ্গের আবগারি দপ্তর থেকে। এরপর আপনাকে আবেদন পত্র আবগারি দপ্তরের অফিসে জমা দিতে হবে। এছাড়াও মদের দোকানে লাইসেন্সের জন্য আপনারা অনলাইন মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। চলুন দেখে নেব সেই পদ্ধতি:-

IMG 20210524 131437 1

আবেদন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করতে হবে excise.wb.gov.in এই ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে ক্লিক করতে হবে “Apply for new excise license” অপশনে। এরপর “Prepare application” অপশনে গেলে আপনার সামনে একাধিক অপশন চলে আসবে এবং আপনি যেটির জন্য আবেদন করতে চান তার উপর ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী ধাপ হিসেবে বৈধ মোবাইল নম্বর ও তারপর মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপি ইনপুট করতে হবে। সবশেষে মেটাতে হবে আবেদন মূল্য। এরপর আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর