বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সাধারণত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে হয়ে থাকে। তবে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই প্রাথমিক স্কুলগুলি। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা-তাণ্ডবের ফলে এমনটা ঘটেছে। রাজ্যজুড়ে শতাধিক স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
কোনও স্কুলের টেবিল-চেয়ার ভাঙ্গা হয়েছে, আবার কোনও স্কুলে ভেঙে গেছে দরজা। শুধু ভাঙচুর নয়, কোথাও কোথাও দুষ্কৃতীরা চুরি করে নিয়ে গেছে স্কুলের চেয়ার, টেবিল, ওয়াটার ফিল্টার, লোহার গেট, বাথরুমের ট্যাপ। এমনকি একটি স্কুলের টয়লেট প্যানও চুরি হয়ে গেছে ভোটের সময়।
নিয়ম অনুযায়ী ভোট চলাকালীন যদি কোনও স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি হয় সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যাতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় কোনও রকম ক্ষতি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এমন সিদ্ধান্ত। তাই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি জেলাকে নির্দেশ পাঠানো হয় স্কুলগুলির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে।
এরপর স্কুল শিক্ষা দপ্তর নবান্নে প্রতিটি জেলার স্কুলগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাঠিয়েছে।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সব থেকে বেশি সংঘর্ষের ঘটনার খবর এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। শাসক দল সেখানেই বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। নবান্নে পাঠানো তালিকা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ওই জেলায় সবথেকে বেশি অশান্তি হয়েছে।
ভাঙচুর করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের ১৩৫ টি স্কুল। তালিকা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের নওদায় মালিত্য পাড়া স্কুলে ৩টি জানালা, ২টি টেবিল, মিড মিলের রান্নার জন্য গ্যাসের সিলিন্ডার, বাল্ব, ইলেকট্রিক বোর্ড, বাথরুমের প্যান, জানালা, মগ নির্বাচনের পর উধাও হয়ে গেছে। তালিকা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের পর সব থেকে বেশি স্কুল ভাঙচুর হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে।
উত্তর দিনাজপুরের ২৮ টি স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে। এছাড়াও ভাঙচুর হয়েছে মালদহের ২০টি, কোচবিহারের ১০টি ও হাওড়ার কিছু স্কুলে। নবান্নকে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মোট ৩৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়কে এই টাকা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।