চুনী গোস্বামী তার ক্রীড়াক্ষেত্রে বেশিরভাগ সাফল্য ফুটবল পায়ে পেলেও তিনি ক্রিকেট খেলতেন বেশ দক্ষতার সাথে। আর সেই কারণে ক্রিকেটার চুনী গোস্বামী কে চিনতেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। স্কুল ক্রিকেটে সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর অধিনায়কত্বেই ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে চুনী গোস্বামীর।
1945 সালে তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। একটি ম্যাচের কিছু মুহূর্ত আগে হঠাৎই তার ক্রিকেট দলে একজন ক্রিকেটার কম পড়ে যায়। সেই কারণে তিনি সেই সময় দলে নেন চুনী গোস্বামীকে। সেই সময় চুনী গোস্বামী মূলত নাম করেছিলেন ফুটবল পায়ে তাই তাকে দলে নেওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অন্যান্য সদস্যরা। কিন্তু সেই প্রথম ম্যাচেই তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে 42 রান করার পাশাপাশি বল হাতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন চুনী গোস্বামী। বল হাতে নিয়েছিলেন চার উইকেট।
আর তাই চুনী গোস্বামীর প্রয়ানে সারা ভারতের সাথে সাথে শোক জ্ঞাপন করেছেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। বুদ্ধদেব গুহ জনিয়েছেন চুনী গোস্বামী আমার থেকে দু’ছরের ছোট ছিল কিন্তু আমরা বন্ধুর মতই মিসতাম। ও ক্রিকেট ফুটবল দুক্ষেত্রেই দারুন দক্ষতা দেখতো। আমি মূলত স্পিন বলে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু চুনী স্পিন বলে করে চার উইকেট নিয়ে আমাকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে স্পিন বোলিং করেও ম্যাচ জেতানো যায়। তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনকে ক্রিকেট, ফুটবল দুক্ষেত্রেই চ্যাম্পিয়ন করেছেন চুনী গোস্বামী, তাই তার প্রয়ানে শোক প্রকাশ করেছে তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনও।