বাংলাহান্ট ডেস্ক: একের পর এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে চলেছে সঙ্গীত জগতে। প্রথমে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), তারপর গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর শেষে ‘গোল্ডেন ম্যান’ বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। মঙ্গলবার মধ্যরাতের একটু আগে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গায়ক সুরকার। তাঁর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে সঙ্গীতপ্রেমীদের।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ী দুজনেই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারতের সঙ্গীত দুনিয়ার মাতৃস্থানীয় ছিলেন লতা। বলিউডের ‘ডিস্কো কিং’ একবার জানিয়েছিলেন, লতা জি না থাকলে এই প্রতিযোগিতার জগতে তিনি কবেই হারিয়ে যেতেন। কেরিয়ারে অনেক সাহায্য করেছেন সুরসম্রাজ্ঞী।
২০১২ সালে এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাপ্পি লাহিড়ী বলেছিলেন, “আমার যখন ৪ বছর বয়স তখন আমরা কলকাতার ইডেন গার্ডেন এলাকায় থাকতাম। তখন লতাজি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন, আমাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। আমার কাছে এখনো একটা ছবি আছে যেখানে আমি ওঁর কোলে বসে রয়েছি।’
বাপ্পি আরো বলেন, “আমার বাবা অপরেশ লাহিড়ী, যিনি কলকাতার একজন নামী সুরকার ছিলেন, তাঁর জন্য অনেক গান গেয়েছিলেন। তখন থেকেই উনি আমার পাশে ছিলেন। আমার প্রথম ছবি ‘দাদু’তে আমার সুরে গান গেয়েছিলেন লতাজি। যদি আমার জন্য উনি গান না গাইতেন তাহলে আমি হয়তো প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যেতাম।”
বলিউডে ‘জখমি’ ছবির হাত ধরে জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি লাহিড়ী। সেই ছবিতে তাঁর সুরে ‘আভি আভি থি দুশমনি’ ও ‘আও তুমহে চাঁদ পে লে যায়ে’ গানদুটি গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। দুটি গানই হিট হয়েছিল। এছাড়াও ওই ছবির প্রায় সবকটি গানই জনপ্রিয় হয়েছিল, যা এখনো গুনগুন করেন মানুষ।