বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আর কংগ্রেস কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছেনা। আর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সক্রিয় হয়ে গেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আর কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী রাজ্যের বরিষ্ঠ নেতাদের সাথে দিল্লীতে বৈঠক ডেকেছেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বিজেপির রাজ্য সভাপতি অমিত শাহ এর সাথে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি যাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে যে, দুপুর দুটোর মধ্যে উনি দিল্লী পৌঁছে যাবেন।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের মোট ২৮৮ বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ১০২, শিবসেনা ৬১, কংগ্রেস ৪০, এনসিপি ৫২ আর অন্যান্য ৩৩ টি আসনে এগিয়ে আছে। আরেকদিকে, হরিয়ানা বিধানসভার ৯০ টি আসনের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি ৩৮, কংগ্রেস ৩১, জননায়ক জনতা দল ১১, এবং অন্যান্যরা ১০ টি আসনে এগিয়ে আছে।
হরিয়ানায় তৃতীয় বৃহত্তর দল হয়ে উঠে আসছে ‘জেজেপি” (JJP )। হরিয়ানায় এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই সরকার গড়তে পারছে না। দুই দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে। আরেকদিকে হরিয়ানায় দুষ্মন্ত চৌটালার দল ১০ টি আসন পেয়ে কিংমেকার হতে চলেছেন।
দশ মাস আগে জেজেপি দল গঠন করেছিলেন দুষ্মন্ত চৌটালা। এক বছর হতে না হতেই বিধানসভা নির্বাচনে কিংমেকার হতে চলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান লোকদল থেকে পারিবারিক বিবাদের কারণে বহিষ্কৃত হন দুষ্মন্ত চৌটালা। এরপর তিনি নিজের সংগঠন মজবুত করে দল গড়েন। ২০১৮ সালেই জননায়ক জনতা পার্টি গঠন করেন দুষ্মন্ত চৌটালা।
নতুন দল খুলেই সবাইকে চমকে দিয়েছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, হরিয়ানায় বিজেপি ৪১, কংগ্রেস ২৯ আর JJP ১০ টি আসনে এগিয়ে আছে। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৬ টি আসন। এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী কোন দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। এখন JJP যেই দলকেই সমর্থন করবে সরকার তাঁরাই গড়বে।