বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জলজ্যান্ত মানুষটাকে ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বলে দেখানো হচ্ছে। আর সেই মানুষটা নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণ নিয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছে, নিজেকে জীবিত বলে প্রমাণ করার জন্য। আর্জি জানাচ্ছেন, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম তুলে দেওয়ার জন্য। এমনই ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে। যা নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
মন্দিরবাজারের নিশাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ঝাপবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আজিমা বিবি জমাদার, পেশায় একজন পরিচারিকা। ২ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘরে কোনক্রমে আধপেটা খেয়ে দিন কাটে তাঁদের। স্বামী প্রয়াত হওয়ায় সংসারের পুরো দায়িত্বটাই তাঁর কাঁধে।
এরই মধ্যে অভিযোগ গত ২ বছর ধরে ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। গত ২ বছর ধরে প্রশাসনের এদরজা ওদরজা ঘুরেও, ভোটার লিস্টে নিজেকে জীবিত বলে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। বারবারই ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে।
এবিষয়ে আজিমা বিবি জানান, ২০১৮ সালে ভোটার লিস্টে নিজের নাম না থাকার খবর পেয়েই স্থানীয় নিশাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন। সেই কারণে জীবিত থাকা সত্ত্বেও তিনি ভোট দিতে পারেছেন না। পঞ্চায়েতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর নামে আসা আবাস যোজনার টাকাও অন্য একজনের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনের কাছে একাধিকবার ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলার অনুরোধ করেও কোন লাভ হয়নি বলেই জানান তিনি। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ডায়মন্ডহারবার মহকুমাশাসকের কাছেও। আজিমা বিবি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো ‘শংসাপত্র’ দেখিয়ে তাঁর নামে আসা আবাস যোজনার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রধান।