বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্রিটেনে গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেন লিজ ট্রাস। তিনি মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন। তিনি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। এই ঘটনার পর লিজ ট্রাস ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তকমা পেলেন। টোরি পার্টির জর্জ ক্যানিং ১৮২৭ সালে ১১৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানও লিজ ট্রাস মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
লিজ ট্রাস রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তার অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি, যার ফলে বাজারের পতন ঘটে এবং এটি তার কনজারভেটিভ পার্টিকেও বিভক্ত করে। লিজ ট্রাস বলেন, উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী পদে প্রচারের সময় অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখন তার গলায় ফাঁস হয়ে উঠেছে। ট্রাস সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং যিনি ট্রাসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন, তিনিও পদত্যাগ করেছেন।
#WATCH | Liz Truss resigns as the Prime Minister of the United Kingdom
I am resigning as the leader of the Conservative party. I will remain as Prime Minister until a successor has been chosen: Liz Truss
(Source: Reuters) pic.twitter.com/nR2t0yOP30
— ANI (@ANI) October 20, 2022
কোয়ার্টেং-এর সিদ্ধান্ত এবং ক্রমাগত সমালোচনার ফলে অর্থনীতি লাইনচ্যুত হওয়ায় নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট কোয়ার্টেং-এর প্রায় সব সিদ্ধান্তই বাতিল করে দেন। এর পরেও ট্রাস সরকারের ওপর চাপ কমেনি। এমনকি তার নিজ দলের সংসদ সদস্যরাও তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।