বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ফের একবার ঘাটাল (Ghatal) থেকে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ দেব (Dev) ওরফে দীপক অধিকারী। ভোটের আগে ঘাটালবাসীর কাছে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের অধীন গোবর্ধনপুর থেকে মুদিবাড়ি অবধি প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা। তবে সেই কথা রাখেননি তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ! এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
‘কোনও সাড়াশব্দ নেই’, দেবের (Dev) প্রতিশ্রুতি নিয়ে মুখ খুললেন স্থানীয় বাসিন্দা
খানা-খন্দে ভর্তি, সেই সঙ্গেই এবড়ো খেবড়ো গর্ত রাস্তায়। বৃষ্টি হলে সেই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। গাড়ি নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটেও যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। বিগত প্রায় ৬-৭ বছর ধরে গোবর্ধনপুর থেকে মুদিবাড়ি যাওয়ার প্রায় ১০ কিমি রাস্তার অবস্থা এই রকমই বলে খবর। যার জেরে ভুগতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
গরমকালে ধুলোর ঝড়, বর্ষায় কাদায় ভর্তি- বিগত ৬-৭ বছর ধরে এভাবেই চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিত্যদিন কয়েক হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন বলে খবর। এলাকাবাসীর দাবি, সাংসদ হওয়ার পর এই রাস্তা বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেব। তবে ভোটের পর প্রায় এক বছর কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘দাদার শরীর খারাপ, তবে…’! আজ এসডিপিও অফিসে হাজিরা দেবেন অনুব্রত? জানালেন কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ
অশোক সামন্ত নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় দেব এসেছিলেন। একেবারে অনুষ্ঠান করে গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কিমি রাস্তা হেঁটে যান। সেই সময় আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি সাংসদ, এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারছেন তো? গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গেলেন। এমনকি চণ্ডীতলায় উনি চা খান। বলে যান, না, সত্যিই এই রাস্তার অবস্থা ভীষণ খারাপ’।
অশোক জানান, সেই সময় দেব বলেছিলেন, প্রথম অগ্রাধিকার থাকবে এই জেলার মধ্যে এই রাস্তা প্রথম বানাব। কিন্তু এরপর থেকে কোনও ‘সাড়াশব্দ’ নেই। রাস্তার কোনও কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ‘প্রথমে টেন্ডার নিয়ে অসুবিধা ছিল। এখন সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে’। বর্ষাকালের আগেই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে দেবের (Dev) কথা বলা হলে, অভিনয় ও রাজনীতি- দুই দুনিয়াতেই অত্যন্ত সফল তিনি। চব্বিশের লোকসভা ভোটে ফের একবার ঘাটাল থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। সেই তৃণমূল সাংসদই রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও বিধায়ক আশ্বাস দিয়েছেন, বর্ষার আগেই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।