বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার জন্য গোটা দেশে লকডাউন (Lockdown 2.0) জারি আছে। আর এই লকডাউনে কেন্দ্র সরকার গ্রামীণ এলাকা গুলোতে কিছু ছাড় দিচ্ছে। এবার কোঅপারেটিভ সোসাইটি (Cooperative Society) কম স্টাফের সাথে নিজেদের কাজ শুরু করতে পারবে। এছাড়াও তফসিলী উপজাতি আর বন্য এলাকায় থাকা মানুষ দ্বারা ছোট বন উৎপাদ আর কাঠ ছাড়া উৎপাদ একত্র করা, কাটা আর প্রোসেসিং এর ছাড় দিয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে দেওয়া নতুন ছাড়- সরকার বাঁশ, নারকেল, সুপারি, কোকো আর মশালার চাষ, প্রোসেসিং, প্যাকেজিং, বিক্রির সাথে সাথে লেনদেন করার জন্য ছাড় দিয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় থাকা কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোকেও নুন্যতম স্টাফের সাথে অপারেট করার অনুমতি দিয়েছে।
এছাড়াও সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, গ্রামীণ এলাকায় নির্মাণ কার্য গুলোতে ২০ এপ্রিলের পর থেকে ছাড় দেওয়া হবে। আরেকদিকে গ্রামীণ এলাকায় জলের সাপ্লাই, বিদ্যুত আর কমিউনিকেশের সাথে জড়িত পরিষেবা আর গতিবিধিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আপনাদের জানিয়ে দিই, ২০ এপ্রিল থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনের সাথে জড়িত পরিষেবা আর দোকান গুলো শুরু হবে। যেমন মুদি, রেশন, ইলেক্ট্রিক, আইটি রিপেয়ার্স, মোটর ম্যাকানিক, ছুতোর, কুরিয়ার, ডিটিএইচ আর কেবল সার্ভিস এর পরিষেবা শুরু করা হবে।
ই-কমার্স কোম্পানি গুলো কাজ করা শুরু করতে পারবে। ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত হওয়া বাহন গুলোকে ছাড় দেওয়া হবে। সমস্ত পরিষেবার হোম ডেলিভারি দেওয়া জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব হবে। এটা করলে বেশি মানুষ বাইরে বের হবে না। আর দোকানে সামাজিক দূরত্ব পালন করার আবশ্যক হবে। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন আর পেটিএম মলের মতো অনলাইন কোম্পানি গুলো ২০ এপ্রিলের পর নিজেদের ব্যবসা সম্পূর্ণ রুপে শুরু করতে পারবে।