বিপর্যস্ত তৈল শোধনশিল্প, লকডাউনে চাহিদা কমেছে ৭০ শতাংশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম লকডাউনে ভারতের ১.৩ বিলিয়ন মানুষকে তিন সপ্তাহের জন্য ঘরে বসে থাকতে বলেছেন, এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি বন্ধ করে দিয়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষ বর্তমানে কর্মহীন।

petrol maps of india image

পাশাপাশি দেশব্যাপী তালাবদ্ধ হওয়ার কারণে জ্বালানী চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, সাধারন অবস্থায় ভারতে যে পরিমান তেল লাগত বর্তমান চাহিদা তার চেয়ে ৭০ শতাংশ কম।ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ভারতে লকডাউনের জেরে প্রতি দিন ৩১ লক্ষ  ব্যারেল তেল কম ব্যাবহার হচ্ছে।যার ফলে প্রতিদিন রক্ত ক্ষরণ হয়ে চলেছে তেল শিল্পের। গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চ মাসে চাহিদা কমেছে ৫০ শতাংশ। লকডাউন যত এগোবে এই ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে। যা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল করে দেবে।

দেশব্যাপী তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার জেরে , শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলি তাদের স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলি পুরোপুরি পূর্ণ। যার ফলে অপরিশোধিত তেলের শোধন কমাতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা গুলি। তারা মনে করছে লক ডাউন উঠলেও তেলের চাহিদা আগের অবস্থায় পৌঁছে যেতে বেশ কিছুদিন লাগবে।

“ট্যাঙ্ক টপ-আপ পরিস্থিতি এড়াতে” ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি), ভারতের ভারতে অপরিশোধিত প্রক্রিয়াকরণ ৩০% থেকে কমিয়ে ৪০% করে ফেলেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারত ভিত্তিক ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারিস এবং পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড ইতিমধ্যে তার ৩০০,০০০ বিপিডি পরিশোধন ক্ষমতার এক তৃতীয়াংশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় পরের সপ্তাহে বাকী অংশটি বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে একটি সংস্থা সূত্র জানিয়েছে।


সম্পর্কিত খবর