করোনা ভাইরাসের দরুন পুরো বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চীন থেকে উৎপন্ন হয়ে এই ভাইরাস ইউরোপ, এশিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। জানিয়ে দি, করোনা ভাইরাস যাতে ভারতে তৃতীয় স্টেজে পৌঁছাতে না পারে তার জন্য মোদী সরকার ওয়ার মুডে কাজ করছে। একইসাথে দেশের সমস্থ রাজ্য সরকারগুলিও সমস্থ শক্তি ঝুঁকে দিয়ে ভাইরাসকে আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে জনগণ এখনও সেইভাবে সচেতনা দেখাচ্ছে না। জনতা কারফিউ এর আগের দিন হাওড়ার মাংসের দোকানে ব্যাপক ভিড় দেখা মিলেছে। ফলস্বরূপ জনতা যে এখনও পুরোপুর সচেতন নয় তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এখন পরিস্থিতি এমন যে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র সহ বেশকিছু স্থানে লকডাউন ঘোষণা আগেই করা হয়েছে। এখন একটা বড় খবর সামনে আসছে। কলকাতা সহ রাজ্যের (West Bengal) সমস্থ পুরশহর লকডাউন (Lockdown) করা হবে বলে খবর মিলছে। কাল বিকেল ৪ টে থেকে বাংলার রাজধানী শহর কলকাতা, জেলার প্রধান শহরগুলি ও পৌরশহরগুলিও লকডাউন করা হবে বলে খবর সামনে আসছে। ৩১ শে মার্চ অবধি লকডাউন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনিতেই ২২ শে মার্চ দেশজুড়ে জনতা কারফিউ লাগু করা হয়েছে। শাহীনবাগে মুসলিম মহিলারা ছাড়া পুরো দেশ জনেতা কারফিউতে সক্রিয় অংশ নিয়েছে। তবে কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে এবার এ রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতা ও পৌরসভা শহরগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখনও এ বিষয়ে সরকারি তরফে কোনো ঘোষণা না হলেও খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এখন অবধি ভারতে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ পার হয়েছে এবং মৃত ৭ জন ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতে দেশ কিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই দেখার। চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় চীন নিজের ১৭ টি শহরকে লকডাউন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।