বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (corona virus) জের পড়েছে প্রায় সব জায়গাতেই। এই ভাইরাসের আতঙ্কে স্কুল-কলেজ, সিনেমা- সিরিয়াল আরও অনেক কিছুই। তাই এবার সতর্কতা হিসাবে তাজমহল বন্ধ (Taj Mahal Closed) রাখার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
ভারতে ক্রমশই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। যে কোন বড় জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এবার তাই পর্যটন মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেওয়ায় এর সংক্রমণ (Coronavirus outbreak) রুখতে আপাতত তাজমহল বন্ধ রাখা হবে। দর্শকদের জন্যে বন্ধ রাখা হবে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের প্রবেশ দ্বার। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ ভারত। এখনও পর্যন্ত এই দেশে (India Coronavirus) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১১৪ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। ইতিমধ্যেই দেশের সিনেমা-থিয়েটার হলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বন্ধ রাখা হচ্ছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও। ক্রমশই যেন আরও মারাত্মক রূপ ধারণ করছে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৪২ টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৬৮,০০০ জন, মারা গেছেন কমপক্ষে ৬,৫০০ জন।
সোমবার গভীর রাতে পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল টুইট করে জানান,”দেশের সমস্ত স্মৃতিসৌধ এবং যাদুঘর আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”।
রাষ্ট্রসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি তাজমহলকে “মুসলিম শিল্পের রত্ন” হিসাবে উল্লেখ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ভারত সফরে এসে এই স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হন। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক তাজমহল পরিদর্শনে আসে। পর্যটকদের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণ, সেই কারণেই তাজমহল বন্ধ রাখার ওই সিদ্ধান্ত।
আপাতত ভারত বিদেশি পর্যটকদের এদেশে আসার ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপীয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, তুরস্ক ও ব্রিটেন থেকে যাত্রী নিয়ে আসা সমস্ত বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী মিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত থেকে আগত মানুষজনকে ভারতে পৌঁছানোর পর বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের জন্যে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে মোদি সরকারের তরফে।
চিন, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানি থেকে এ দেশে আসা মানুষজনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিধিনিষেধ প্রযোজ্য, অন্যদিকে প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে ভারতে আসার সীমান্ত অঞ্চলগুলি আপাতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে এই মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। এই মহামারীর প্রভাবে দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আরবিআই। এর ফলে ভারতের বিকাশের গতি আরও কিছুটা প্রভাবিত হবে।