বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে লকডাউন যে নরেন্দ্র মোদির কতখানি মাস্টার স্ট্রোক ছিল তা নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু করেছেন। তাদের মতে লকডাউন সম্পূর্ণ সফল নয়। কেন্দ্রের অদূরদর্শী ভাবনার ফল ভুগতে হয়েছে দেশবাসীকে। কিন্তু সমীক্ষা কিন্তু মোদি সরকারের পক্ষেই। সম্প্রতি হওয়া এক সমীক্ষা জানাচ্ছে ভারতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত দেশের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
সমীক্ষা বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সময় লকডাউন ঘোষনা করেন তখন দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০০ এর কাছাকাছি। ২৪ মার্চ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ বাড়ছিল ২১.৬ শতাংশ হারে। কিন্তু তারপর লকডাউনের কারনে বর্তমানে সেই বৃদ্ধির হার এই মুহুর্তে ৮.১ শতাংশ। যদি লকডাউন না হত তবে এই মুহুর্তে ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যে দুই লাখের গন্ডি।
যদিও এই বৃদ্ধি অন্যান্য করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশী। তবুও ভারতের মত গরীব তৃতীয় বিশ্বের দেশে এই ভাবে সংক্রমণের গ্রাফ নেমে যাওয়া যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
যদিও লকডাউনের কারনে এই মুহুর্তে স্তব্ধ গোটা দেশের অর্থনীতি। কর্মহীন দেশের কোটি কোটি মানুষ। গরিব মানুষদের অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা এর আওতায় গোটা দেশ জুড়ে ৩১.৭৭ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে মোট ২৮২৫৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থমন্ত্রকের তরফে জানা যাচ্ছে যে, কেন্দ্র সরকার ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার রিলিফ প্যাকেজের ঘোষণা করেছে ৷ গরিব, বিধবা মহিলা,বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি-সহ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আগামী তিন মাসের জন্য কিছু টাকা ট্রান্সফার করবে ৷
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের দফতরের এক আধিকারিক ট্যুইটে সোমবার জানিয়েছে, ডিজিটাল ইনফোস্ট্রাকচারের কারনেই অনেক তাড়াতাড়ি ও সহজে মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়েছে।
সরকার ইতিমধ্যে ১৯.৮৬ কোটি মহিলার জনধন অ্যাকউন্টে ৫০০ টাকা করে ট্রান্সফার করা হয়েছে ৷ এই খাতে মোট ৯৯৩০ কোটি টাকা খরচ করেছে ৷ পাশাপাশি ণশাপ এর তথ্য অনুযায়ী, ২.৮২ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৪০০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে ৷
প্রবীণ নাগরিক, বিধবা মহিলা ও বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা ট্রান্সফার করে করেছে সরকার ৷ এছাড়াও দেশের কৃষক দের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এর আওতায় ১৩৮৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা প্রত্যেকে ২০০০ টাকা পেয়েছে।