বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভবানীপুরে বিজেপির হয়ে প্রচারের অংশ না নেওয়ার পর, শুক্রবার দলের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (locket chatterjee)। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির ছাড়ার পর তাঁকে নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এদিনের দলীয় বৈঠকে লকেটের অনুপস্থিতি, সেই জল্পনাকেই আরও উস্কে দিল।
শুক্রবার প্রথমবার বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর এই বৈঠকে অংশ নিয়েই, কে কোথায় কিভাবে কাজ করবেন, কোন কৌশলে এগোবে বিজেপি- সবকিছু বাতলে দেন তিনি। এদিন তাঁকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনাও জানানো হয়।
এদিনের এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নীরজ জিম্বা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, দিবাকর ঘরামি এমনকি লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। আর এই ঘটনার পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইট ঘিরে যেন আবার নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার লকেট বনাম কুণাল ট্যুইট যুদ্ধে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘রাজনীতিতে আবারও বন্ধু লকেটের পুরনো ইনিংস ফিরে আসতে পারে। দলের বহু অনুরোধের পরও, ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে না নামার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই। এই ছোট পৃথিবীতে, একজন বন্ধু হিসেবে লকেটের সাফল্য কামনা করি’।
উল্টো দিক থেকে লকেট লিখেছিলেন, ‘ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে না পরাজিত হন, সেদিকে আপনি নজর দিন’।
তবে এই ট্যুইট যুদ্ধে কুণাল ঘোষের করা মন্তব্যগুলো বর্তমানে সত্যি হওয়ার আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের প্রথম থেকেই প্রচারে অংশ না নেওয়া, বর্তমানে দলীয় বৈঠকে অংশ না নেওয়া, সবমিলিয়ে পদ্মের মালা থেকে লকেট খসে পড়ার আশঙ্কায় বিজেপি শিবির।
তবে এবিষয়ে লকেট জানিয়েছেন, ‘দিল্লীতে কদিন আগেই সুকান্ত দার সঙ্গে কথা হয়েছে। মঙ্গলবার ওঁর দিল্লীর বাড়িতেও গিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে এসেছিলাম। সেই দিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে বললে, উত্তরাখণ্ডের কাজের ব্যস্ততার কথাও তাঁকে জানিয়েছিলাম। আমি বর্তমানে দিল্লীতেই কাজের জন্য ব্যস্ত রয়েছি। তবে যারা এইসমস্ত জল্পনা করছেন, তারাই এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন’।