বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার উপনির্বাচনে প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। ৪০ জনের নামের লম্বা সেই তালিকায় রাজ্য এবং কেন্দ্রের একাধিক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর নাম থাকলেও বাদ পড়েছে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম। সম্প্রতি বিদ্রোহের জেরেই কি উপনির্বাচনের প্রচার থেকে ব্রাত্য লকেট? যদিও এই প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
আগামী ১২ এপ্রিল দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন বঙ্গে। আর তা ঘিরেই স্বভাবতই ব্যস্ততা তুঙ্গে সব শিবিরেরই। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতিও। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের ভোটের দায়িত্ব পেলেও বাংলার উপনির্বাচনে ব্রাত্য লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির তারকা প্রচারকদের তালিকায় রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বাদ পড়েননি কেউই। কিন্তু বাংলার নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও সেই তালিকায় নাম নেই লকেটের। বঙ্গ রাজনীতিতে দাপুটে বিজেপি নেত্রী বলেই পরিচিত অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কেন বাদ পড়ল তাঁর নাম? এই নিয়েই তুঙ্গে জল্পনা।
অনেকেরই দাবি, পুরভোটে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিজেপি নেত্রী। তারপর তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিদ্রোহী শিবিরেও। সেখানে দলের একাধিক বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। তাঁর বৈঠকের পরই তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এমনকি এই জল্পনাও ছড়িয়েছিল যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর সেই সবের জেরেই বাংলার উপনির্বাচন থেকে তাঁকে দূরে রাখল দল, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।
যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে যোগ্য মনে করেছিল, তাই উত্তরাখণ্ডের ভোটের দায়িত্ব দিয়েছিল। আর বাংলার বিজেপি হয়তো আমাকে যোগ্য বলে মনে করছে না। তাই প্রচারকের তালিকায় রাখেনি। দল যাঁকে যোগ্য বলে মনে করেছে, তাঁকেই প্রচারকের দায়িত্ব দিয়েছে।’ তবে কি দলের সঙ্গে সত্যিই দূরত্ব বাড়ছে তাঁর? গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্তে কার্যতই আবারও তুঙ্গে এই জল্পনা।
উল্লেখ্য, দুই কেন্দ্রে প্রচারের জন্য ৪০ জন তাবড় নেতানেত্রীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। কে কে রয়েছেন সেই তালিকায়? দেখে নিন।
সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অমিত মালব্য, স্মৃতি ইরানি, অর্জুন মুণ্ডা, বাবুলাল মারান্ডি, গিরিরাজ সিং, অন্নপূর্ণা দেবী যাদব, নিত্যানন্দ রাই, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ কুমার প্রামাণিক, জন বার্লা, বিপ্লব কুমার দেব, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, অর্জুন সিং, খগেন মুর্মু, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ তিওয়ারি, রবি কিষাণ, রবিশংকর প্রসাদ, এস এস আলুওয়ালিয়া, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রাম কৃপাল যাদব, অমর বাউড়ি, রাহুল সিনহা, গৌতম গম্ভীর, রেনু কুমারী, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, ভারতী ঘোষ, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, দেবশ্রী চৌধুরী, মাফুজা খাতুন, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, জোয়েল মুর্মু, ইন্দ্রনীল খান, তনুজা চক্রবর্তী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়