বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মার্চ মাসের শুরুতেই বাংলায় বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা! প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল, বিজেপি সহ প্রত্যেকটি দল। উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় চমকপ্রদ ফলাফল করেছিল গেরুয়া শিবির। ‘পদ্মের ধাক্কা’য় খানিক বেসামাল হয়ে গিয়েছিল জোড়াফুল। ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। আসন্ন ভোটে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে দাবি করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই বাংলায় ১৯টি আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। বাকি ২৩টি আসনেও শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই আবহে বাংলায় (West Bengal) ভালো ফলাফল করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল অমিত শাহের গলায়।
সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদমধ্যমের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি দাবি করেন, চব্বিশের ভোটে (Lok Sabha Election 2024) সারা দেশে ৩৭০টি আসনে জয়ী হবে বিজেপি। গতবার ৩০৩টি আসন পেয়েছিল পদ্ম-শিবির। তবে এবার সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে দাবি করেন শাহ। অপরদিকে এনডিএ ৪০০-টিরও অধিক আসনে জয়যুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ এখনও বাংলায় দেখা নেই ইউসুফের! কবে শুরু করবেন ভোট প্রচার? যা জানাল তৃণমূল
আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানায় বিজেপির ভালো ফলাফল নিয়ে আশাবাদী অমিত শাহ। পাঞ্জাবেও পদ্ম-শিবির ভালো রেজাল্ট করবে বলে অনুমান করছেন তিনি। অপরদিকে ওড়িশায় বিজু জনতা দলের সঙ্গে দর কষাকষি এখনও চলছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর চব্বিশের ভোটেও বাংলা থেকে বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশা করছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘এবারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি ২৫-টিরও বেশি আসনে জয়ী হবে। ২০১৭ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে আমারা বেড়েই চলেছি। বিধানসভায় ২জন থেকে ৭৭ জন হয়েছি। লোকসভায় বাংলা থেকে আমাদের ২ জন সাংসদ ছিলেন, তবে এখন তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন ভোটে আমরা আরও এগোবো’।
এরপরেই বাংলার দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে সুর চড়ান অমিত শাহ। তিনি বলেন, ইডিকে দোষারোপ করে কিছু হবে না। বাংলা দুর্নীতি হচ্ছে যাতে কেন্দ্রের সুবিধা সেখানে না পৌঁছতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। সেই কারণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। মমতা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়েও মন্তব্য করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে মা-বোনেদের ভোটে সরকার গড়েছে তৃণমূল, তাঁদের ওপরই এখন দলের নেতারা অত্যাচার করছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের ধরা হচ্ছে না। শেষ হাই কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর ধরা হয়। বাংলার মা-বোনেদের কাছে আমার আর্জি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাতৃশক্তির আসল অর্থ বুঝিয়ে দিন’।